খুলনা বিভাগসারাদেশ

যশোরে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সহ আটক ৫

যশোর  প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে চার ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক আটক হয়েছে।
মনিরামপুরে চাতালে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ এনে চাঁদাবাজি করার সময় চার ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটসহ পাঁচজনকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে স্থানীয় জনগণ। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০), খুলনার খালিশপুরের গোয়ালখালি এলাকার এসএম বাবর আলীর ছেলে মোস্তফা ফয়সাল (৩৫), ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ইতি খাতুন (২২), খুলনার দৌলতপুরের দক্ষিণপাবলা গ্রামের নূরমোহম্মদের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৩৫) এবং প্রাইভেটকার চালক ফরিদপুর জেলার শালতা উপজেলার বাউশখালী গ্রামের কমল শেখের ছেলে মনির শেখ (২৬)। আটক জহিরুল নিজেকে দৈনিক ফলাফল নামে একটি পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

অভয়নগরের মাগুরা গ্রামের আব্দুল মজিদ বিশ্বাস বলেন, ওই এলাকায় আমার চাতাল রয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আটককৃতরা একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো গ-২৩-৪৩২৯) করে চাতালে এসে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি অভয়নগরের ইউএনওকে জানানো হয়। ইউএনও আসার খবর শুনে দ্রুত তারা গাড়িতে উঠে মনিরামপুরের দিকে চলে আসেন। আমরা ঢাকুরিয়ার লোকজনকে ফোন করে গাড়িটি আটকাতে বলি। পরে ঢাকুরিয়া বাজারের লোকজন গাড়িসহ পাঁচ জনকে ধরে ফেলেন।
গত সোমবার এই একই দল অভয়নগরের প্রেমবাগে দুটি হোটেলে ঢুকে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ওই সময় টিমের নারী সদস্য ইতি খাতুন একটি হোটেলের মিষ্টির পাতিল লাথি মেরে ফেলে দেন।
ঢাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী সরদার বলেন, দুপুর ১টার দিকে আমি পরিষদে ছিলাম। তখন বাজারের লোকজন প্রাইভেট কারটির গতিরোধ করে তাদের পাঁচ জনকে আমার কাছে নিয়ে আসে। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে তাদেরকে হেফাজতে নেয়।
মনিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বলেন, যেহেতু ঘটনাটি অভয়নগরের, তাই ওই পাঁচজনকে অভয়নগর পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সেখানেই মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button