বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

দ্রুত রূপ বদলাচ্ছে করোনা

করোনা ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যা বারবার রূপ বদলায়।  যুক্তরাষ্ট্রে শুরুতে এই ভাইরাস যেমন ছিল এখন আর তা তেমন নেই।

এবার ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের এগন অজার স্থানীয় রোগীদের শরীরে সম্পূর্ণ আলাদা এক জিনগত গঠনের করোনাভাইরাস দেখেন।

সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে এই ভাইরাসের পরিবর্তন। ভাইরাসের পৃষ্ঠে প্রোটিনের বিল্ডিং ব্লক হিসেবে প্রায় ১৩০০ অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। কিন্তু পরিবর্তনের ফল মিউটেন্ট ভাইরাসে অ্যামাইনো অ্যাসিড ৬১৪। অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রকারও ডি থেকে জি হয়ে যেতে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

পরিবর্তনের স্থানও লক্ষ্যনীয়। প্রোটিনের যে পরিবর্তন হচ্ছে সবই স্পাইক প্রোটিনে। স্পাইক প্রোটিনের জন্যই মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে এই নোভেল করোনাভাইরাস। এই জি-অ্যামাইনো অ্যাসাইডের করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জি ভাইরাস আরও বেশি শক্তিশালী ও দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে।

ভাইরাসটি নিজের প্রতিলিপিকরণের সময় এই মিউটেশন ঘটাচ্ছে। যার দরুন স্পাইক প্রোটিনের গঠন পরিবর্তিত হচ্ছে।

পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা গেলেও এখনও এই জিনগত পরিবর্তন, ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যে কী কী পরিবর্তন আনছে তা বুঝতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ভাইরাসের ট্রান্সমিশন বুঝতে পারলে ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে সুবিধা হবে। এমনই মত বিজ্ঞান মহলের। সূত্র: জিনিউজ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button