লিড নিউজ

এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী ১২ বছর বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি স্বল্পোন্নত দেশের উত্তোরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সহজে উত্তোরণ সম্পন্নের জন্য পরবর্তীতে আরও ১২ বছর বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাবের পক্ষে সকলের সমর্থন চেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এলডিসিভূক্ত দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীদের নিয়ে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা  আয়োজিত ভার্চুয়াল সন্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘এলডিসি গ্রুপের পক্ষ থেকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাণিজ্য সুবিধার সময় ১২ বছর বর্ধিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সকল পক্ষকে এই প্রস্তাবে সমর্থন করার অনুরোধ করছি।’

টিপু মুনশি বলেন, ডব্লিউটিও  ‘হংকং মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা এবং ‘নাইরোবি মিনিস্টেরিয়াল ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী প্রিফারেন্সিয়াল রুলস অব অরিজিন উন্নত দেশসমূহকে এলডিসিভূক্ত দেশকে প্রদান করতে হবে।
তিনি এলডিসি দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাঠামোগত উন্নয়নে আঙ্কটাডকে কার্যকর সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্জিত অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলভাবে কভিড মহামারি মোকাবিলা করে যাচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য এলডিসির উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কার্যক্রম আরও জোরদার করার প্রয়োজন। একইসাথে তিনি কভিডের অভিঘাত, ডিজিটাল ডিভাইড ও জলবায়ুর বৈরী প্রভাব মোকাবেলায় টেকনোলজি ট্রান্সফার এবং শিল্পসহ অন্যান্য খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে কাঠামোগত সহায়তা প্রদানের পক্ষে জোরালো প্রস্তাব করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য আঙ্কটাড সম্মেলন, ডব্লিউটিও মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন এবং এলডিসি-৫ সন্মেলনে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি আদায় ও এলডিসির স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়সমূহ কার্যকরভাবে উপস্থাপনের জন্য আঙ্কটাডকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

আঙ্কটাডের সম্মেলনে কভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ট্রেড, ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি সহযোগিতাসহ আগামী দশ বছরের জন্য অ্যাকশন প্ল্যান (২০২২-৩১) আলোচিত হবে। তাই সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে ৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের বৃহস্পতিবারের সন্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্মেলনে আঙ্কটাডের সেক্রেটারি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আঙ্কটাড জাতিসংঘের আন্তরাষ্ট্রিক একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহকে নীতি ও উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আগামী ৩ থেকে ৭ অক্টোবর আঙ্কটাডের ১৫তম অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন কভিড-১৯ পরবর্তী অধিবেশন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button