সারাদেশ

করোনার উপসর্গ নিয়ে এক যুবক যশোর মনিরামপুরে আত্মগোপনে

যশোর প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা যুবকের নানা বাড়ি যশোর জেলার  মণিরামপুরের বিজয়রামপুরে। তিনি পেশায় গাড়িচালক। ঢাকায় একটি হজ গ্রুপের হয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী আনা-নেওয়া করতেন। কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন ওই যুবক। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় পালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মণিরামপুরের বিজয়রামপুরে নানাবাড়িতে আশ্রয় নেন ওই যুবক। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর চাপাচাপির এক পর্যায়ে ওই যুবক রাতে পালিয়ে একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে দাদাবাড়িতে চলে যান। সেখানে ছেলেকে ঘরে তালাবদ্ধ করেন তার বাবা।

করোনা ভাইরাসের বা কেভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন এক যুবক পালিয়ে মণিরামপুরে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজে সময় উপজেলার টেংরামারী জামে মসজিদে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ওই সময় মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা এক ব্যক্তিকে বের করেও দেওয়া হয়। বহিষ্কৃত ব্যক্তি পালিয়ে আসা ওই যুবকের চাচা।
এদিকে, এলাকায় করোনা রোগী আশ্রয় নিয়েছে এমন খবরে মসজিদের মুসল্লিসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে স্থানীয় গ্রামপুলিশ সেই বাড়িটিতে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক শুরু হয়। এরপর জুমার নামাজের সময় টেংরামারী জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন টিপু ঘোষণা দেন, ‘এলাকায় করোনা রোগী এসেছে। আপনারা সাবধান হন।’
এসময় তিনি নামাজে আসা সন্দেহভাজন করোনা রোগীর চাচাকে মসজিদ থেকে বের করে দেন। মসজিদে ঘোষণা দেওয়ার কথা শুনে ও লোকজনের চাপাচাপিতে ছেলেকে তার বাবাও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, শুক্রবার দুপুরে গ্রামপুলিশ ওই বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে। বিকেলে খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী মহিতোষকুমার রঘুনাথপুর গ্রামে ওই যুবকের সন্ধানে যান। তিনি গিয়ে বাড়িতে যুবককে পাননি।

রঘুনাথপুর গ্রামের রুস্তম ও মোহাম্মদ আলী বলেন, তাদের বাড়ির পাশের বাড়িতে ওই ছেলেটি আশ্রয় নিয়েছেন। তারা শুনেছেন, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত। এই কারণে তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

যদিও নিশ্চিত কোনো প্রমাণ গ্রামবাসী বা মসজিদ কমিটির কাছে নেই।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, ‘ওই ছেলেটি আফতাফ হজ গ্রুপের গাড়িচালক। সে হাজিদের বিমানবন্দরে আনা নেওয়ার কাজ করতো আর ঢাকার মিরপুরে মালিকের বাড়িতে থাকত। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মিরপুরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এরপর ওই এলাকার কয়েকটা বাড়ি লকডাউন করা হয়। ছেলেটিও আটকা পড়ে। সেখান থেকে সে পালিয়ে মণিরামপুরে চলে এসেছে।’
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ইউএনও পুলিশ নিয়ে বিজয়রামপুরে সেই বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ওই ছেলেকে খুঁজে পাননি বলে জানান ডা. শুভ্রা।

তবে সন্ধ্যায় ওই যুবক আবার বিজয়রামপুরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তার মামা ফোনে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ‘খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে আমরা বিজয়রামপুরে গিয়েছিলাম। সেই ছেলেকে পাইনি। আগামীকাল আবার খোঁজ নেব। তবে ছেলেটি সুস্থ আছে বলে জেনেছি।’ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা যুবকের নানা বাড়ি যশোর জেলার  মণিরামপুরের বিজয়রামপুরে। তিনি পেশায় গাড়িচালক। ঢাকায় একটি হজ গ্রুপের হয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী আনা-নেওয়া করতেন। কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন ওই যুবক। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় পালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মণিরামপুরের বিজয়রামপুরে নানাবাড়িতে আশ্রয় নেন ওই যুবক। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর চাপাচাপির এক পর্যায়ে ওই যুবক রাতে পালিয়ে একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে দাদাবাড়িতে চলে যান। সেখানে ছেলেকে ঘরে তালাবদ্ধ করেন তার বাবা।

করোনা ভাইরাসের বা কেভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন এক যুবক পালিয়ে মণিরামপুরে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজে সময় উপজেলার টেংরামারী জামে মসজিদে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ওই সময় মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা এক ব্যক্তিকে বের করেও দেওয়া হয়। বহিষ্কৃত ব্যক্তি পালিয়ে আসা ওই যুবকের চাচা।
এদিকে, এলাকায় করোনা রোগী আশ্রয় নিয়েছে এমন খবরে মসজিদের মুসল্লিসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে স্থানীয় গ্রামপুলিশ সেই বাড়িটিতে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক শুরু হয়। এরপর জুমার নামাজের সময় টেংরামারী জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন টিপু ঘোষণা দেন, ‘এলাকায় করোনা রোগী এসেছে। আপনারা সাবধান হন।’
এসময় তিনি নামাজে আসা সন্দেহভাজন করোনা রোগীর চাচাকে মসজিদ থেকে বের করে দেন। মসজিদে ঘোষণা দেওয়ার কথা শুনে ও লোকজনের চাপাচাপিতে ছেলেকে তার বাবাও বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, শুক্রবার দুপুরে গ্রামপুলিশ ওই বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছে। বিকেলে খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী মহিতোষকুমার রঘুনাথপুর গ্রামে ওই যুবকের সন্ধানে যান। তিনি গিয়ে বাড়িতে যুবককে পাননি।

রঘুনাথপুর গ্রামের রুস্তম ও মোহাম্মদ আলী বলেন, তাদের বাড়ির পাশের বাড়িতে ওই ছেলেটি আশ্রয় নিয়েছেন। তারা শুনেছেন, ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত। এই কারণে তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

যদিও নিশ্চিত কোনো প্রমাণ গ্রামবাসী বা মসজিদ কমিটির কাছে নেই।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, ‘ওই ছেলেটি আফতাফ হজ গ্রুপের গাড়িচালক। সে হাজিদের বিমানবন্দরে আনা নেওয়ার কাজ করতো আর ঢাকার মিরপুরে মালিকের বাড়িতে থাকত। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মিরপুরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এরপর ওই এলাকার কয়েকটা বাড়ি লকডাউন করা হয়। ছেলেটিও আটকা পড়ে। সেখান থেকে সে পালিয়ে মণিরামপুরে চলে এসেছে।’
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ইউএনও পুলিশ নিয়ে বিজয়রামপুরে সেই বাড়িতে যান। কিন্তু তারা ওই ছেলেকে খুঁজে পাননি বলে জানান ডা. শুভ্রা।

তবে সন্ধ্যায় ওই যুবক আবার বিজয়রামপুরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তার মামা ফোনে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ‘খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে আমরা বিজয়রামপুরে গিয়েছিলাম। সেই ছেলেকে পাইনি। আগামীকাল আবার খোঁজ নেব। তবে ছেলেটি সুস্থ আছে বলে জেনেছি।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button