জাতীয়

ক্ষুধা মেটাতে গো-খাদ্য খাচ্ছে মৌমাছিরা!

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় দু’ দফায় ভয়াবহ বন্যার কারনে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ক্ষুধা মেটাতে গো-খাদ্য খাচ্ছে মৌমাছিরা। শনিবার (১৮ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
দু’দফায় ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সকল হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, বিভিন্ন ফসলাদি, নার্সারীসহ কয়েকটি ফুলের বাগান তলিয়ে যায়। বানভাসি মানুষ সব চেয়ে বিপাকে পড়ে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেঁড়া,ও হাঁস-মুরগী নিয়ে। এসব পশুর খাদ্য সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে গেরস্তরা।
অপর দিকে ফুলের বাগান ও অন্যান্য মধু জাতীয় গাছ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন থেকে মৌমাছি চলে আসছে লোকালয়ে। আশ্রয় নিচ্ছে বিভিন্ন মসজিদ, স্কুল, কলেজ ও বাড়ির গাছগাছালিতে। সেখান থেকে খাদ্যের সন্ধানে দলবেঁধে মৌমাছিরা ছুটছে বাজারের বিভিন্ন গো-খাদ্যের দোকানে। সকাল থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে সন্ধার পূর্বে এই মৌমাছিরা নির্দিষ্ট স্থানে ফিরে যায়। কিন্ত এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়নি কখনো তাদের।
রৌমারীর চকবাজারের গো-খাদ্যের দোকান মালিক শের আলী বলেন, আমি কোনো দিনও দেখিনি মৌমাছিরা গো-খাদ্য খায়। গত কয়েক দিন থেকে আমার দোকানে মৌমাছিরা দলবেঁধে সকালে আসে এবং গো-খাদ্য খেয়ে সন্ধার আগ দিয়ে চলে যায়। আসলে চারদিকে বন্যায় ফসলাদি ডুবে যাওয়ায় খাদ্য সংকটের কারনে হয়তো বা আমার দোকানে আসে। তবে আমি এই মৌমাছিদের তাড়িয়ে দেই না।
রৌমারীর হোটেল মালিক নুর আলম বাচ্চু জানান, ইতি পূর্বে আমার জিলাপি ভান্ডতে ৮থেকে ১০ করে মৌমাছিরা সব সময় থাকতো। তবে গত কয়েক দিনে থেকে ভয়াবহ বন্যার প্রকোপে আশ্রয় ও খাদ্য সংকটের কারনে আমার হোটেলে অনেক মৌমাছি এসেছে। আমার মনে হয় তারা খাদ্য সংকটে পড়েছে।
মধু সংগ্রহকারি আব্দুল জলিল (মৌয়াল)’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন এবার চরম হতাশায় রয়েছি। এবারের মতো মধু সংকট কখনও হয়নি। দুর-দুরান্তে হেটেও মৌমাছির দেখা মিলছে না। দু’দফা বন্যায় বিভিন্ন ফলাদি ও ফুলের বাগান ডুবে যাওয়ায় মৌমাছিরাই মধু পাচ্ছে না।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button