সারাদেশ

ধসে পড়ার আশঙ্কায় সাইক্লোন শেল্টার

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল উত্তর পশ্চিম গন্ডামারা চরপাড়ায় অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটির বর্তমান অবস্থা ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। চার্চ অব বাংলাদেশ, সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম কর্তৃক নির্মিত কয়েক বছরের পুরনো এই সাইক্লোন শেল্টারটি যে কোনো সময় ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছরের পুরনো ভবন হওয়াতে ভবনের ছাঁদ, দরজা জানালা ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। নয়টি খুঁটির ওপর নির্মিত ভবনের সবকটি খুঁটির প্রলেপ সরে গিয়ে লোহায় মরিচার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। যেন শূন্যে দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতল ভবনটি। এখন এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে কোনো মুহূর্তে পুরো ভবনটি ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবনের পাশেই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি অবস্থিত। প্রতিদিন প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল-মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ, স্থানীয় পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লিরা আতঙ্কে যাতায়াত করে ওই ভবনের পাশের রাস্তা দিয়ে। ৫শতাধিক মানুষের চলাচলের পথটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে অশনি সংকেতের সময় আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৯৩ সালের দিকে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। খুব নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করার কারণে নির্মাণের ৭ থেকে ৮ বছরের ব্যবধানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে ভবনটি। বর্তমানে ভবনটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। শীঘ্রই তারা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ভবনটি ভেঙে পেলে পুনরায় ওই জায়গায় নতুন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান। অন্যথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নানা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে গ্রামের ৫শতাধিক মানুষ।

সরকারি হিসাব মতে, বাঁশখালীর ছয় লাখ মানুষের জন্য ১১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র আছে। এর মধ্যে ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার অনুপযোগী। ১০২টি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে নামে থাকলেও স্কুলসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা হওয়ায় বাস্তবে তার রয়েছে ভিন্ন চিত্র। সরকারি হিসাবে ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ কোনো রকমে আশ্রয় নিতে পারবে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হিসেবে বাঁশখালীর ১০টি ইউনিয়নকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিহ্নিত করা হলেও এখনো ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয় কেন্দ্র গুলোর অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন সাধিত হয়নি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button