পেঁয়াজ আমদানিতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯%
পেঁয়াজের আকাশচুম্বী দরে লাগাম টানতে নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্য আমদানিতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানিতে দেওয়া ঋণে ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না কোনো ব্যাংক।
বুধবার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত ও মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে পেঁয়াজ আমদানির অর্থায়নের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পেঁয়াজ আমদানির জন্য দেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকভেদে সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ কাটা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত ঋণের সুদ হার বেঁধে না দিলেও আমানত ও ঋণের মধ্যে সুদের হারের মধ্যে তফাত ৫ শতাংশে নির্ধারিত রয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজের দর বেড়ে যায়। অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকার নিচে নামছে না। এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় আড়তে অভিযান চালানোর পর পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় তার প্রভাব পড়েনি।
বাংলাদেশে বছরে মোট পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। তবে গত অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদনের তথ্য জানিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, সংকট না থাকায় দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।