জাতীয়

পাপুলকাণ্ড: কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা

কুয়েতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের অর্থ ও মানবপাচারের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার কুয়েতের সংবাদমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, ‘পাবলো’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ও কুয়েতে সেদেশের নাগরিকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ক্লিনিং কোম্পানির মালিক অর্থ ও মানবচাপারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে রয়েছেন। তার এই ঘটনায় কুয়েতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এই ঘটনার পর সম্প্রতি কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার বিষয়ে দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম স্বীকার করেন যে বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের অর্থ ও মানবপাচারের ঘটনায় তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিতে বিরূপ পড়তে পারে। তবে কতটা প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত চাকরিচ্যুত হয়ে ছয় হাজারের বেশি বাংলাদেশি কুয়েত ছেড়েছেন। করোনার প্রভাবে কুয়েতের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আরও অনেককে দেশ ছাড়তে হতে পারে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনে করেন, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যতটা খারাপ বলে ধারণা করা হচ্ছে ততটা খারাপ নয়। তার মতে, কুয়েতে বিদেশি শ্রমিক কমানোর জন্যে সে দেশে রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। তবে কুয়েত সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button