ধামইরহাটে সন্তান হারানো বাবা প্রতারকদের খপ্পরে

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে প্রায় ৩ সপ্তাহ যাবৎ এক মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ আবু সাঈদকে ফিরে পেতে বাবা হাফিজ উদ্দীন এলাকায় মাইকিং করেন। তার ওই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণ মাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হয়। এই সুযোগ কাজে লাগাই একটি সংগবদ্ধ প্রতারক চক্রের দল পুলিশ পরিচয়ে। ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হাতিয়ে নেয় অর্থের সর্বোচ্চ সুযোগ। যেন মরার উপর খঁড়ার ঘ্যাঁ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের আগ্রাদ্বিন বাজারে। প্রতারকরা আবু সাঈদের খোঁজ দেয়ার কথা বলে অসহায় বাবার নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ের খবর পাওয়া গেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ বিকেল বেলায় আবু সাঈদ ও তার প্রতিবেশি মো. মোমিন হোসেন বাড়ি থেকে আগ্রদ্বিগুন বাজারে যাত্রীবাহী বাস যোগে মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজীহাট পয়নারী হাফেজিয়া মাদ্ররাসায় পৌছার আগেই বাস থেকে নেমে আবু সাঈদ হাটে টুপি, গামছা কেনার কথা বলে যায়। তার পর আর ফিরে আসেনি আবু সাঈদ। সহপাটি মোমিন মাদ্রারসায় চলে যায়। তারপর থেকে আবু সাঈদকে আর কোথায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে পিতা হাফিজ উদ্দীন এলাকায় মাইকিং করে সন্তানের খোজে। এ ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় একটি জিডিও করা হয়। গত শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর সময় মহাদেবপুর থানার এসআই আব্দুল মতিনের পরিচয় দিয়ে সাঈদের বাবার ফোনে কল করে জানানো হয় তার ছেলেকে মুমুর্ষ অবস্থায় পার্বতীপুর এলাকায় পাওয়া গেছে। ওই থানার এসআই জাফরের নাম্বারে কথা বলার জন্য একটি মোবাইল নাম্বার দেন। ওই নাম্বারে ফোন করা হলে তিনি জানান পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলের চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং চিকিৎসা জন্য ৮ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ পরিমান টাকা বিকাশে পাঠিয়ে ছেলের কাছে আসতে বলা হয়। সন্তান হারা পাগল পারা বাবা প্রতারকদের মোবাইলে সেই পরিমান টাকা পাঠালে মোবাইল নাম্বার গুলো বন্ধ করে রেখে দেয়। ফলে প্রতারকদের সাথে আর কোন ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একে তো সন্তান হারানোর ব্যাথা দ্বিতীয়ত অর্থ খোয়া যাওয়ার ঘটনায় নিরাস ও পাগলের মতো ছুটাছুটি করছেন সাঈদের পরিবারের সদস্যরা। ওইদিন রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ধামইরহাট থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার এস আই মেহেদী মাসুদ জানান, যে মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করা হয়েছিল এবং কোন নাম্বারে টাকা পাঠানো হয়েছে তা যাচাই করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।