সারাদেশ

কুড়িগ্রামে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::: কুড়িগ্রামে মধুমাসের আগমনী বার্তা ঋতুরাজ বসন্তের কথা জানিয়ে দিচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ,ভ্রমরের গুঞ্জন। আমের মুকুলে বেড়েছে মৌমাছির আনাগোনা। মুকুলের মিষ্টি সৌরভ মন্ত্রের মতো টানছে তাদের। শাখায়-প্রশাখায় তাই তুমুল ব্যস্ততা। বসন্তের স্নিগ্ধতা এনেছে স্বার্ণালি মুকুল। বাতাসে এখন আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ । সেই গন্ধে বিমোহিত মানুষের মনপ্রাণ । গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে আম গাছগুলো মুকুল নিয়ে সেজেছে হলদে রঙের এক অপরূপ সাঁজে। মুকুলের আধিক্য দেখে ভাল ফলনের আশায় বুক বাঁধেছেন এই অঞ্চলের আম চাষিরা।
সরেজমিনে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, হলুদ আর সবুজ মিলিয়ে কেবলই মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা।
কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন উপজেলার আম চাষিরা। বেশ কয়েক জন আম চাষির সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল এসেছে। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে আম চাষিদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আম গাছের পরিচর্চা ও ভালো ফলন পেতে চাষীদেরকে নানা ভাবে পরামর্শ দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, আমের মুকুল আসার আগে ও পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন এখন তা বিরাজমান। জানুয়ারী থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। কুয়াশা কম এবং উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সম্পুর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। এবার গাছে যে পরিমাণে মুকুল এসেছে ঝড় বৃষ্টির কারণে কিছু নষ্ট হলেও আমের ফলনে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে তারা মনে করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button