লিড নিউজ

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৯৯ লাখ, মৃত্যু ৫ লাখ ছুঁই ছুঁই

বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালিয়েই যাচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছুঁই ছুঁই করছে। মারা যাওয়ার সংখ্যাটাও ৫ লাখের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বে মৃতের তালিকায় নাম উঠেছে আরও ৫০৮৩ জনের এবং একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৫ হাজারের মতো মানুষ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২ জন।

শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৬ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৯০৬ জন। অপরদিকে ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।

ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন এর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাশিয়া, ব্রাজিল। আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৬৪০০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন।

আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ৮০ হাজার ৫৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার ১০৯ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ২০ হাজার ৭৯৪ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮৭৮১ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৯ হাজার ৪৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৯ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে পঞ্চম এবং মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৬০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার ৪১৪ জনের।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের তথ্য জানানো হলেও এখন এখন সংখ্যাটা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন ১৬৬১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩৩ জন।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করছে ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button