রংপুর বিভাগসারাদেশ

চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুর কাজ শেষ হলেই ৩ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হবে

কুড়িগ্রাম: পুরোদমে এগিয়ে চলেছে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটির কাজ আগামী বছর শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে  উত্তরাঞ্চলের
গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হবে বলে আশা করছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে সেতুটির ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি কুড়িগ্রামের চিলমারী অংশের সংযোগ সড়কের ব্রিজ ও কালভার্টের কাজ শেষে এখন সংযোগ সড়ক নির্মাণ চলছে। এ ছাড়া গাইবান্ধা অংশে সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষের পথে।
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী তিস্তা নদীর ওপর দিয়ে নির্মাণাধীন এ সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৯০ মিটার। কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এই সেতুটি। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সেতুটি চালু হলে চিলমারী-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট-ঢাকাও গাইবান্ধাসহ উত্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি ওই অঞ্চলের সড়ক পথের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার কমে আসবে।
মূল সেতু, সংযোগ সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬৭ কোটি টাকা এবং সড়ক, সংযোগ ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ এবং নদী শাসন ও জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুটিতে মোট ৩০টি পিলার থাকবে। তার মধ্যে ২৮টি থাকবে নদীর ভেতরের অংশে এবং ২টি থাকবে বাইরের অংশে। সেতুর উভয় পাশে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে নদী শাসন করা হবে।
এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার করে সড়ক নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে চিলমারী  মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে অ্যাকসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।
নদীর তীরবর্তী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর কাজ শেষ হলে এটি হবে উত্তরাঞ্চলসহ নদী পারের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ২৯০টি পাইলিংয়ের মধ্যে ১৪০টি, ৩০টি পিলারের পিয়ার ক্যাপের মধ্যে ১৪টি, পিলার কলাম ১২টি, পিলার ক্যাপ ১১টি এবং ১৫৫টি গার্ডারের মধ্যে ২০টির কাজ শেষ হয়েছে।
২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করে উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সেতু ও সড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত সেতুর ৩৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button