খুলনা বিভাগসারাদেশ

নড়াইলে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিধবার বাড়িঘর দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিধবার বাড়িঘর দখল, জোরপূর্বক ওয়ারেশ সনদ করাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী জেসমিন নাহার জানান, আ’লীগ নেতা আলমগীর হোসেন নড়াইল সদরের আলোকদিয়া গ্রামে আমার বসতভিটা জোরপূর্বক দখল করেছে। ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পর ঘরে তালাও দিয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে। পরে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলে আলমগীরসহ তার লোকজন নানা ধরণের হুমকি দেয়। এরপর থেকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সরদার আলমগীর। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বলেও কোনো কাজ হয়নি। অসহায়ত্ব দেখে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে, বিধবা জেসমিন নাহারের বাড়িঘর দখলের প্রতিবাদে গত শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে সদরের শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এছাড়া নড়াইল পৌর এলাকার গারুচোরা বাজারে স্থানীয় আ’লীগ ও মৎসজীবী লীগ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করে।

মানববন্ধন ও  প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন-শাহবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া, ভুক্তভোগী জেসমিন নাহার, নড়াইল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জেলা মৎসজীবী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুজ্জামান পলাশসহ অনেকে।

এ ব্যাপারে জেলা মৎসজীবী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিধবার বাড়িঘর দখল মেনে নেয়া যায় না। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া আওয়ামী লীগ পদধারী আলমগীর হোসেনের সন্ত্রাসীবাহিনীর হাতে ছাত্রলীগের দুই নেতা সম্প্রতি মারধরের শিকার হয়েছে। তার বিচার দাবি করছি।

শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, গত ১০ মার্চ আলমগীর হোসেন দলবল নিয়ে ইউনিয়ন অফিসে এসে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রথমে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপর জমি জালিয়াতির কাগজপত্র জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ ঘটনার বিচারসহ জোরপূর্বক স্বাক্ষরকৃত ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র উদ্ধারের দাবি করছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন বলেন, আমি কারোর বাড়িঘর দখল করেনি। বৈধ ভাবে তিন শতক জমি কিনেছি। ওই জমির মধ্যে বাড়ির অংশ পড়েছে। এছাড়া ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্রের জন্য শাহবাদ ইউনিয়ন পরিষদে যাইনি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button