খেলা

যে ৩ নারীকে ২০ বছর ধরে খুঁজছেন রোনালদো

অনলাইন ডেস্ক:

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আজ বিশ্বের অন্যতম ধনী অ্যাথলেটদের তালিকায় প্রথম সারিতেই তার নাম আসে। কিন্তু মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মাননি। ফুটবল গ্রহের সর্বকালের সেরা এই তারকা একটা সময় খুবই দুর্দিন পার করেছেন। ছোটবেলার দিনগুলোর কথা ভোলেননি জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার। ভোলেননি সেই নারীদের কথা যারা তাকে ছোটবেলায় বিনা পয়সায় তার মুখে খাবার তুলে দিতেন। এমনকি গত ২০ বছর ধরে ঐ নারীদের খুঁজছেন রোনালদো।

জানা গেছে, রোনালদোর বয়স ছিল ১১ বা ১২ বছর। বর্তমানের অর্থ-যশ-খ্যাতি-প্রতিপত্তির কোনো কিছুই তার ছিল না। ছিল কেবল ফুটবলার হওয়ার তীব্র বাসনা। সেজন্য শিশু অবস্থাতেই পরিবার থেকে দূরে থাকতে হতো তাকে। লিসবনের ওই জায়গায় তার মতোই আরও অনেক ক্ষুদে খেলোয়াড়রা থাকত। তিন মাস পরপরই কেবল মাদেইরায় নিজের বাড়িতে যাওয়ার- প্রিয় মুখগুলো দেখার সুযোগ পেতেন রোনালদো। অর্থ সংকট থাকায় সময়টা ছিল ভীষণ কষ্টের। সেই দুঃসময়ে প্রায়ই গভীর রাতে রোনালদো ক্ষুধার তাড়নায় চলে যেতেন লিসবনের ম্যাকডোনাল্ডসে। তার মতো অনেকেই যেতেন। তারা পেছনের দরজায় নক করে চাইতেন বার্গার। সেসময় এদনা নামের সেলসগার্ল ও আরও দুজন মেয়ে তাদেরকে খেতে দিতেন।

আজ তাদেরকেই প্রতিদান ফেরত দিনে চান রোনালদো। আর সেই মানুষগুলোকেই খুঁজছেন পর্তুগালের প্রথম ইউরো কাপ জয়ী এই ক্যাপ্টেন। সম্প্রতি আইটিভি’র
এক শো-তে এসেছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। সেখানেই তিনি চোখের পানি মুছতে মুছতেই জানালেন এই কথাগুলো। আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, ঐ নারীদের আর খুঁজে পাইনি। আমি পরে পর্তুগালে তাদের ব্যাপারে অনেককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু আজও খুঁজে পায়নি। ম্যাকডোনাল্ডস টাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই ইন্টারভিউয়ের পর কেউ যদি ওদের খুঁজে দিতে পারে তাহলে আমি খুশি থাকব।সুখবর হলো, রোনালদো যে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করার আকুতি পোষণ করেছিলেন, তাদের একজনের খোঁজ মিলেছে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। তার নাম পাউলা লেকা। পর্তুগালের একটি রেডিও স্টেশনের বরাতে ফক্স স্পোর্টস এশিয়া ও মিরর জানিয়েছে, লেকা রোনালদোর আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তারা রেস্টুরেন্টে আসত এবং যদি বার্গার বেঁচে থাকত, তবে আমাদের ম্যানেজার সেগুলো ওদের দেওয়ার অনুমতি দিতেন। শিশুদের মধ্যে একজন ছিল রোনালদো, যে সবচেয়ে লাজুক ছিল। প্রায় প্রতি রাতেই এটা ঘটত। আমার স্বামী এটা আগে থেকেই জানত। কারণ মাঝেমাঝে সে আমাকে রাতে রেস্টুরেন্ট থেকে নিয়ে আসতে যেত এবং সেও তাকে (রোনালদো) দেখেছে। অনেক দিন আগের এই ঘটনায় ফিরে যাওয়াটা বেশ মজার। এটা প্রমাণ করে, সে কতটা নম্র। আর লোকে অন্তত এখন এটা ভাবতে পারবে না যে, আমি বানিয়ে বানিয়ে বলেছি।’ সূত্র :টকস্পোর্টস।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button