লিড নিউজ

মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ভিড়

বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফেরায় স্কুলে ফিরেছে প্রাণ। নতুন ড্রেস, জুতা পরে স্কুলে এসে কতই না খুশি কচিকাচার দল। দীর্ঘদিন পর প্রিয় শিক্ষক আর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ায় উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে আরও বেশি। তবে তাদের এ উচ্ছ্বাসে উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদেরই কিছু বাবা-মা কিংবা অভিভাবক।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পুরান ঢাকার নামি প্রতিষ্ঠান সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অভিভাবকদের জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো। মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব, যা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে শিশু শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যেই।
পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল ও কলেজ থাকায় এখানে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় অনেকটাই বেশি। সড়কেও ছিল যানজট। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দেখা যায় ভেতরে ঢুকেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলের ফটকে এগিয়ে দিচ্ছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় ভিড়, যখন অন্য শ্রেণিগুলো স্কুলে এসে যায়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম শ্রেণির ক্লাস ছুটি হওয়ার পর স্কুলটির প্রধান ফটকে পা ফেলার জায়গাটুকুও ছিল না। অভিভাবকেরা তাদের ছোট ছোট মেয়েদের নিতে ফটকের ভেতরেও ঢুকে যান। এর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ দোকান, টিউশনির জন্য কার্ড বিতরণের কারণে জটলা বেড়ে যায় আরও বেশি। এতে করে বেড়ে যায় ঝুঁকি। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কেউ কেউ।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরিনার বাবা গেন্ডারিয়ার আকতার হোসেন বলেন, এভাবে ভিড় করে তো নিজেরাই নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছি। তিনি বলেন, এখন স্কুলে যা নিয়ম কানুন দেখছি তাতে ভালো লাগছে। সরকার যেভাবে বলেছে সেভাবে মেনে চললে নিরাপদ। কিন্তু ভিড় করা কাম্য নয়।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরশির মা জলি জানান, স্কুলে প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধি ঠিকটাক মানা হয়েছে। তবে গেটে এভাবে জটলা করলে রিস্কের মধ্যে পড়ে যেতে হবে। তবে জটলা করা অভিভাবকদের দাবি, স্কুল ছুটির পর ছোট বাচ্চাদের নিতে অভিভাবকদের তো আসতে হয়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষেরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ভিড় না হয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button