রংপুর বিভাগসারাদেশ

নীলফামারীর পারঘাট সেতু নির্মাণে কচ্ছপ গতি

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
নীলফামারীর পারঘাট সেতু নির্মাণ কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গত ৩ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। নদীর উপর সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ। তাই জনদুর্ভাগ কমাতে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন। এ সেতু চালু হলে নীলফামারী-কিশোরগঞ্জের দূরত্ব কমার পাশাপাশি প্রসার ঘটবে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাড়ালকাটা নদীর উপর ২৫২ দশমিক ৩ মিটার সেতু নির্মাণের কাজ পায় যশোরের মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ২ মে নির্মাণ কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ কাজের চুক্তিমূল্য ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৪ টাকা। ২০১৮ সালের ২৮ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কাজের মেয়াদ গত দু’বছর আগেই শেষ হয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র পিলার ছাড়া দৃশ্যমান কাজের নেই কোন অগ্রগতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতি ও কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ফলে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে নৌকাযোগেই প্রতিদিন লোকজনকে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রীজের অর্ধেক নির্মাণ কাজ করে দীর্ঘদিন হলো এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় প্রতিদিন কাঁচামাল পারাপার করতে হয়। নদীর পূর্ব পাশের মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বছরের আসলিমা নামের এক মহিলা বলেন, আমি অসুস্থ মানুষ নীলফামারীতে ডাক্তার দেখাতে প্রায় নদী পার হতে হয়। বয়স হয়েছে এভাবে নৌকায় নদী পার হতে ভীষণ কষ্ট হয়। উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে একটি ব্রীজের কাজ চলছে। পিলার ছাড়া কিছুই কাজ হয়নি। আমি সরকারের কাছে দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। নীলফামারীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সুজন কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button