রংপুর বিভাগসারাদেশ

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আশরাফ মজিদ সহ ৪৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দুদকের নজরদারিতে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : দেশব্যাপী স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে আসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের অর্ধশতাধিক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে হিসাব রক্ষক আশরাফ মজিদ সহ
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। শুধুমাত্র কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাবও জানতে চেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, যারা নজরদারিতে রয়েছেন প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের প্রত্যেকেরই জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। নিজেদের নামের পাশাপাশি স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন ও শশুর বাড়ীর নিকটতম স্বজনের নামেও অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন তারা।

এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে একজন দুদকের নজরদারিতে চলে এসেছেন। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের  প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আলোচিত আশরাফুল মজিদের বিষয়ে ইতোমধ্যে দুদক কাজ শুরু করেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আশরাফুল মজিদের বিষয়ে যথেষ্ঠ তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণাদী দুদকের হাতে এসেছে।

দুদকের নজরদারিতে স্বাস্থ্যখাতের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে খুব শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুধু কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নয়, সারাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রসঙ্গে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদকের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট কাজ করছে। ইতোমধ্যেই আমরা দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, বদলি ও উপায়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছি। অনুসন্ধান শেষে আরো অনেকের নাম আসতে পারে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button