রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩২৭ জন

বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ছয়জন। রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়। করোনায় মারা যাওয়া ৮জনের মধ্যে চারজন বগুড়ার বাকি চারজন অন্য জেলার। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার হাফিজার রহমান(৬৫), বগুড়া শিবগঞ্জের আয়াশ আলী(৫৫), সদরের শিউলী পারভীন(৩৮), জয়পুরহাটের মোহাম্মদ আলী(৬০), নওগাঁর রাহেলা খাতুন(৬০), বগুড়া শেরপুরের জোবেদ আলী(৮৫), নাটোরের আলম(৫৫) এবং বগুড়া শিবগঞ্জের প্রকাশ কান্তি সরকার(৭৫)।

এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী, রাহেলা, জোবেদ ও আলম শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে, হাফিজার, আয়াশ ও শিউলী সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে এবং  প্রকাশ কান্তি টিএমএসএস হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বগুড়ার ডেপুটি  সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন সোমবার সকালে অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানান, মরণঘাতী ওই ভাইরাসে জেলায় নতুন করে আরও ৩২৭জন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল  কর্তৃপক্ষ করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।

ডা: তুহিন জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও এক হাজার ১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২৭জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রন্তের হার ৩২দশমিক ১২ শতাংশ। এদের মধ্যে সদরের ১৮৯জন, শেরপুরের ২৮জন, শাজাহানপুরের ২৭জন, আদমদীঘির ২০জন, গাবতলীর ১৯জন, শিবগঞ্জের ১২জন, দুপচাঁচিয়ার ৮জন, ধুনটের ৭জন, সারিয়াকান্দির ৫জন, কাহালুর ৫জন, সোনাতলার ৪জন এবং নন্দীগ্রামের ২জন।

তিনি জানান, রোববার ঢাকায় পাঠানো ৫৪৪ নমুনার ফলাফলে ১৫০জনের,  বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমন মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৪জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।একই কলেজের জিন এক্সপার্ট মেশিনে ২১ নমুনায় ১৫জনের এবং এন্টিজেন পরীক্ষায় ১৪২জনের মধ্যে ৫০জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন।  এছাড়া বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৯ নমুনায় ১৮জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

ডা. তুহিন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৩৪জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৬৩৪জন এবং  ৪৭৫জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৯২৫জন চিকিৎসাধীন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button