জাতীয়লিড নিউজ

সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবে ৫০ শতাংশ হজযাত্রী: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

আগামী বছর থেকে মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি ছিল না।

ফলে অন্য বছরের মতো এবার এহরাম পরা অবস্থায় হাজীদের ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়নি। আগামী বছর থেকে মোট হাজীর ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার হজ ব্যবস্থাপনার সফল সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ধর্ম সচিব আনিছুর রহমান ও হজ এজেন্সি মালিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৯২৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। ব্যবস্থাপনায় যুক্ত সদস্যসহ সবমিলে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন এবার হজ করেছেন। হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো ত্রুটি হয়নি বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘হাজীগণ আল্লাহর মেহমান। তাদের চোখে আমি পানি দেখতে চাই না। কোনো হাজীকে এহরাম পরে যেন রাস্তাঘাটে ঘুরতে না হয়।’ আলহামদুলিল্লাহ এবার কোনো হাজীকে হজে যেতে না পেরে এহরাম পরে রাস্তায় ঘুরতে হয়নি। শেখ আবদুল্লাহ বলেন, এ বছর ৫৯৮টি এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

হজ করতে গিয়ে ১১৮ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে মারা গেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৫ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১১৩ জন। মারা যাওয়া হাজীদের মধ্যে ১০১ জন পুরুষ, ১৭ জন নারী। মক্কায় মারা গেছেন ১০৩, মদিনায় ১৩ ও জেদ্দায় দু’জন। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৮ জন। এর মধ্যে ৬ জন দেশে ফিরেছেন।

একজন সৌদিতে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজীদের মক্কার সরাইয়া ও মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনায় আরও উন্নতি হবে। কারণ এ বছর ছিল আমার প্রথম ব্যবস্থাপনা। কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। এবারের অভিজ্ঞতা আগামী বছর কাজে লাগাব। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৯২৩ জনসহ মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন নিবন্ধন করেছিলেন।

আগামী বছরও এ সংখ্যা থাকলে অর্ধেক সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। এ বছর প্রথমবার ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ায় হাজীদের সৌদিতে গিয়ে বিমানবন্দরে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্লাইট ব্যবস্থাপনাও ঠিক ছিল এবার। একটি ফ্লাইটও বাতিল হয়নি। এছাড়া লাগেজ পৌঁছে যায় হজযাত্রীদের আগেই। ফলে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি হজযাত্রীদের।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি, সৌদি বিমানবন্দরে হাজীদের অপেক্ষার সময় ও কষ্ট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশেই প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন করা, মিনায় অবস্থানকালে দ্বিতল খাট ব্যবহার না করা, উন্নত খাবার পরিবেশন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি এজেন্সির সর্বনিম্ন হজযাত্রীর সংখ্যা ১৫০ থেকে কমিয়ে ১০০ জন করা এবং হজের দিন মক্কা, মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় যাতায়াতের জন্য পুরনো বাসের পরিবর্তে উন্নত নতুন ও পর্যাপ্ত বাস সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ কোটা বৃদ্ধির সুপারিশ ছাড়া অন্য দাবিগুলো মেনে নিয়েছে বলে দাবি করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button