বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

টিকটকে অশালীন ভিডিও বন্ধে আইনি নোটিশ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে টিকটকের আশালীন ভিডিও বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আইন সচিব এবং তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকটক থেকে সব ধরনের অশ্লীল কনটেন্ট বা ভিডিও সরিয়ে ফেলা এবং এগুলো তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নয়তো উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, ‘সামাজিক অবক্ষয় রোধে আইনি নোটিশ প্রদান করছি। বর্তমান অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে মানুষ প্রযুক্তির সবচেয়ে বেশি যে মাধ্যম ব্যবহার করছে, সেটি হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বয়সী এবং শ্রেণি-পেশার মানুষ উল্লেখযোগ্যভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে মানুষ একাধারে যেমন বিভিন্ন তথ্য আদানপ্রদান করছে, তেমনি দেশ-বিদেশের প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার সম্পর্কে তারা জানতে পারছে।’

নোটিশে আরো বলা হয়, ‘তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মানুষ নিত্যনতুন আবিষ্কার সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। এই বিষয়গুলো একদিকে যেমন মানুষের জীবনমানের উন্নতি সাধন করেছে, ঠিক তেমনি এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার অ্যাপসের সঠিক ব্যবহার না করার কারণে সমাজের একটি বড় অংশ বিশেষত, তরুণ প্রজন্ম অনেক ক্ষেত্রে বিপথগামী হচ্ছে এবং এই থেকে রক্ষার জন্য আমাদের এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।’

আইনি নোটিশে এ আইনজীবী আরো বলেন, ‘আমরা ইদানীং লক্ষ করছি যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল ব্যবহৃত একটি অ্যাপস, যেটিকে টিকটক অ্যাপস নামে অভিহিত করা হয়, এই অ্যাপসটি মূলত একটি কনটেন্ট ক্রিয়েটার অ্যাপস। এই অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন জনসচেতনতা এবং সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার করার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে এমন কিছু অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোর ও যুবক শ্রেণি বিপথগামী হচ্ছে এবং নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে।’

নোটিশে আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অবাধ তথ্যপ্রবাহের সুযোগে একশ্রেণির টিকটক ব্যবহারকারী টিকটক নামক অ্যাপসটি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং যার ফলে এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ শিশু-কিশোর ও যুবক শ্রেণির মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button