জাতীয়লিড নিউজ

“দুর্নীতিবাজরা বিদেশেও শান্তিতে থাকতে পারবেনা”

দুর্নীতি করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কঠোর শাস্তি পেতে হবে। দেশে এমনকি বিদেশে পালিয়েও শান্তিতে থাকা যাবে না। দুদক পিছু ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। একই সঙ্গে বলেন, দুদকের প্রতি ৮৬ শতাংশ মানুষের আস্থা আমাদের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

রোববার সেগুনবাগিচা দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) এর ‘গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার এশিয়া ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদেন বলা হয়েছে “দেশের  ৮৬ শতাংশ মানুষ দুদকের প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন”।

গণমাধ্যম কর্মীরা এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদক এ জাতীয় প্রতিবেদন সবসময়ই গুরত্বের সাথে পর্যালোচনা করে থাকে। এখন পর্যন্ত প্রতিবেদনটি আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে পর্যালোচনা করিনি। আপনাদের কাছ থেকেই আমরা জেনেছি, দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করেছেন। আমি মনে করি, জনগণের প্রতি দুদকের দায়িত্ব আরো বাড়ল। তাদের এই আস্থাকে টেকসই করতে হবে।

আরও বলেন, কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণদের কাছে-এই বার্তা পৌঁছাতে হবে যে, দুর্নীতি করলে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। কঠোর শাস্তি পেতে হবে। দেশে এমনকি বিদেশে পালিয়েও শান্তিতে থাকা যাবে না। দুদক পিছু ছাড়বে না। এক্ষেত্রে কারো ব্যক্তিগত পরিচয়, সামাজিক, পেশাগত, ধর্মীয় অন্য কোনো পরিচয়ে কাজ হবে না। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, বিগত প্রায় পাঁচ বছরে আমরা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে চেষ্টা করেছি। ব্যক্তি আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় ছিল না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ-দুর্নীতির প্রকোপ রয়েছে একথা আমরা কখনও অস্বীকার করি না। তবে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে আমরা বহুমাত্রিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধে কমিশন প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে। বিগত পাঁচ বছরে ফাঁদ মামলার মাধ্যমে অসংখ্য ঘুষখোরকে ঘুষের টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের কারো কারো বিচারিক আদালতে সাজাও হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের কণ্ঠকে উচ্চকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণশুনানির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button