রাজশাহী বিভাগসারাদেশ

নওগাঁর ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনকে করোনা টিকাদানের উদ্বোধন

নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ নওগাঁ সদর হাসপাতালে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া এবং সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফকে করোনা টিকা দেয়ার মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় আনুষ্ঠানিক ভাবে কোভিট-১৯ এর টিকা দান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১১ টায় নওগাঁ সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের তয় তলায় ৫টি বুথের মাধ্যমে আজ থেকে করোনা টিকা দান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে এক সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ হারুণ অর রশিদ। অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল মালেকসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকা দেওয়ার কেন্দ্র থেকে টিকা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি ও জেলা হাসপাতালে চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে ছয়জন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি এই টিকা প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে দুজন প্রশিক্ষিত টিকাকর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। টিকা দেওয়ার জন্য দক্ষ টিকাকর্মীরা এরই মধ্যে ঢাকায় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।

জেলায় করোনার টিকা সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টিকা দিবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠ ভাবে শেষ হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। স্থানীয় সাংসদদের কমিটিতে উপদেষ্টা। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, রোববার প্রথম দিনে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ৫টি বুথের মাধ্যমে ১১০ জনকে করোনা টিকা দেয়া হবে। এছাড়া, অন্য ১০টি উপজেলায় ৩টি করে বুথের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি একই সাথে উদ্বোধন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ হারুণ অর রশিদ বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তবে জেলার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে আমি ভ্যাকসিন নিলাম। অনেকেই ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছেন। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে— এই ভ্যাকসিনটি কিন্তু তৈরি করা হয়েছে একটি ভালো উদ্দেশ্যেই।

তিনি বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে যদি কেউ ভ্যাকসিন না নেয়, তবে সেটা ভুল হবে। কারণ অনেক ওষুধেও কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আবার অনেকের শরীরে অনেক ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদি আমার শরীরে অন্যান্য রোগ বেশি মাত্রায় না থাকে, তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে তো কোনো সমস্যা নেই। মোট ৮৪ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। এই টিকা ৪২ হাজার মানুষকে দেওয়া হবে তিনি আরও বলেন, টিকা সংরক্ষণের জন্য আগে থেকেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভ্যাকসিন সংরক্ষণাগারে রাখা ছিল।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button