বগুড়ায় রিপন (১৩) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদরের মাটিডালী এলাকার ইউসুফ (২৬) সাবিব্র আহমেদ (২০), প্রদীপ (১৯) রেহান (২০) ও বারপুর এলাকার রাশেদ (২০)।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন আকতার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিহান ও সাব্বির আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকি তিনজন আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর সদর উপজেলার বারপুর এলাকায় বাড়ির পাশের একটি দোকানে বসে থাকাকালীন প্রতিবন্ধী শিশু রিপন নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একই বছরের ১৫ নভেম্বর পাশের এলাকার চাঁদপুর গড়ের জঙ্গলে শিশু রিপনের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশু রিপনের বাবা ফারুক বাদী হয়ে পরদিন ১৬ নভেম্বর বগুড়া সদর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক মো. জুলহাস হোসেন ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল এজাহারভুক্ত ইউসুফ, সাবিব্র আহমেদ, প্রদীপ, রেহান, রাশেদ ও পাপ্পুর নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন, কিন্তু আসামি পাপ্পু কিশোর অপরাধী হওয়ায় তার বিচার কার্যক্রম কিশোর অপরাধ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
কারাদণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল করিম হলি জানান, চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।