এখনও গভীর কুয়ায় আটকে ২ বছরের শিশু সুজিত
৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গভীর কুয়াতে আটকে রয়েছে ২ বছরের সুজিত উইলসন। এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি ওই শিশুকে। মাঝপথেই উদ্ধারকাজ থামাতে বাধ্য হয়েছেন এনডিআরএফ-এর কর্মীরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, যে কুয়াতে সুজিত পড়ে গিয়েছে তার পাশেই আর একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বাচ্চাটির কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু প্ল্যানমাফিক তা সম্ভব হয়নি।
খেলতে খেলতে অসাবধানতায় ৬০০ ফুট গভীর কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিল বাচ্চাটি। জানা গিয়েছে, ২৫ ফুট থেকে ১০০ ফুটের মধ্যে বাচ্চাটির বর্তমান অবস্থান। শিশুটি যাতে আরও নীচে চলে না যায় আপাতত সে দিকেই নজর রাখছে উদ্ধারকারী দল। বাচ্চাটিকে উদ্ধারের জন্য ওএনজিসি-র কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর জানিয়েছেন, যে গর্তে সুজিত পড়ে গিয়েছে তার পাশে সমান্তরাল ভাবে আরও চওড়া এবং ১১০ ফুট গভীর একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ওএনজিসি-র তরফে। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লাগবে এই সুড়ঙ্গ খুঁড়তে। তারপর ৩ থেকে ৪ জন উদ্ধারকারী কর্মী ভিতরে গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে আনবেন।
শুক্রবার বাড়ির সামনে খেলতে খেলতেই বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই গভীর কুয়োতে পড়ে যায় ২ বছরের সুজিত উইলসন। ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পৌঁছে যান জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের সদস্যরাও। রাজ্যের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ শুরু করেন তাঁরা।
উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর যে কুয়োতে বাচ্চাটি পড়ে গিয়েছিল তার পাশে একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু করে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল এই সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রথমে কাদামাটি বের করে আনা হবে। তারপর ২ বছরের সুজিতকে উদ্ধার করে ওই একইপথে বের করে আনা হবে। কিন্তু সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় এনডিআরএফ।
জানানো হয়, বাচ্চাটির নিরাপত্তার খাতিরেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় বাচ্চাটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। সুস্থ ভাবে যাতে সুজিতকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় সে জন্য প্রার্থনা করছে গোটা ভারত। কিন্তু ৩০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও আশার আলো দেখা যায়নি। উদ্ধারকারী দল জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়িই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।