জাতীয়

শিবগঞ্জ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয় ১৪ ফেব্রুয়ারী (রবিবার) সকাল ৮টা থেকে,এবং চলেছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এবার মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৫ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। শিবগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটারের সংখ্যা ৩২ হাজার ৯শ’ ৭৯ জন।
এদিকে সকাল থেকে পৌরসভার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মর্দানা, পিঠালিতলা, দেবিনগর, জালমাছমারি, শিবগঞ্জ মডেল হাই স্কুল, সৃজনশীল কচিকাঁচা বিদ্যানিকেতন, দেবিনগর শহিজান কুরআন উম্মুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা, শিবগঞ্জ বয়েজ কলেজ সহকয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, শুরুর দিকে ভোটারের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোট কেন্দ্র গুলো ভোটারের উপস্থিতি ছিল উপচেপড়া ও লক্ষ্যনীয়।
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলা কালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী।
সকাল সাড়ে ৯ টায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জালমাছমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান করার পর সাংবাদিকদের জানান, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি আশা করছি বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকারের উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে আমাকে জনগণ বিজয়ী করবেন।
অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো: ওজিউল ইসলাম (ওজিল মিয়া) সকাল পৌনে ১০ টায় শিবগঞ্জ গার্লস হাই স্কুলে নিজের ভোট প্রদান করেন।
তিনি এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ভোট শুরুর পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত এমন পরিবেশ অব্যাহত থাকবে কিনা তা সংসয় প্রকাশ করেন।
এছাড়াও মেয়র পদে জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের মো: আফজাল হোসেন সহ কাউন্সিলর প্রার্থীরা স্ব স্ব কেন্দ্রে তাদের নিজ নিজ ভোট প্রদান করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ১৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ২০৬ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে ছিলো ১৩ টি কেন্দ্রে ১০ জন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট , প্রতিটি কেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ, ৭ জন আনসার সদস্য। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে পুলিশের ১০ টি মোবাইল টিম, ২ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৩টি মোবাইল টিম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল আরও জানান, সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button