আইন-আদালতসারাদেশ

মা-ছেলে হত্যায় রাজশাহীতে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজশাহীর বাগমারায় ২০১৪ সালে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যা মামলার রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার সকালে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল হোসেন মাস্টার (৫২), হাবিবুর রহমান হাবিব (৪০) ও চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাক (৩৫)। এর মধ্যে আবুল হোসেন মাস্টার বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেউলা রানী রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর হাবিবুরের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামে। এছাড়া ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাকের (৩৫) বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর গ্রামে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল কাফি (২২), একই গ্রামের রুহুল আমিন (৩০), দুর্গাপুরের খিদ্রকাশিপুর গ্রামের রুস্তম আলী (২৬) এবং খিদ্রলক্ষ্মীপুর গ্রামের ওরফে মনির (২৩)। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

রাজশাহীর বাগমারার দেউলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে আকলিমা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে জাহিদ হাসানকে (২৫) গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত আকলিমা বেগমের বড় ছেলে দুলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা করেন।

জানা যায়, এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী দুইজন। এরা হলেন- নিহত আকলিমা বেগমের দেবর আবুল হোসেন মাস্টার (৫২) এবং হাবিবুর রহমান হাবিব (৪০)। মামলায় অভিযুক্ত অন্য পাঁচজন হলেন- বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্য রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (৩৫), একই উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল কাফি (২২), একই গ্রামের রুহুল আমিন (৩০), দুর্গাপুরের খিদ্রকাশিপুর গ্রামের রুস্তম আলী (২৬) এবং খিদ্রলক্ষ্মীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির (২৩)। এরা সবাই ভাড়াটে খুনি হিসেবে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button