স্বাস্থ্য

কিডনির সুস্বাস্থ্যে পানি অপরিহার্য

আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হল বৃক্ক বা কিডনি। শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিডনিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) মানবশরীরের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে একটি। কিডনি সংক্রমণকে মূলত ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ, খুব সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলি তেমনভাবে প্রকট হয় না। যার ফলে অনেকাংশেই উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা শুরুই করা যায় না। এর ফলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

কিডনি আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের কাজটি করে থাকে। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া।

কিন্তু ঠিক কি ভাবে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করা যায় তা অনেকেই জানেন না। জেনে নেওয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়া রোধের উপায় সম্পর্কে:

কাচা লবণ খাওয়া যাবেনা: অনেকেই খাবারে লবণ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।

পরিমিত পানি পান করতে হবে: কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের বর্জ্য ছেঁকে শরীরকে টক্সিন মুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়। যদি পরিমিত পানি পান না করা হয়, তাহলে কিডনি সঠিক ভাবে শরীরের বর্জ্য দূর করতে পারে না। ফলে আর ওই বর্জ্য কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। সুতরাং, পরিমিত জল পান করতে হবে।

এর পাশাপাশি কিডনি সুস্থ রাখতে কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ:

  • প্রতিদিন অবশ্যই অন্তত ৭-৮ গ্লাস (২-৩ লিটার) জল খাওয়া দরকার।
  • প্রস্রাব কখনোই চেপে রাখা যাবেনা। এতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) হওয়ার ভয় থাকে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক (পেইনকিলার) ওষুধ বা কোনও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা।
  • বয়স চল্লিশ বছরের বেশি হয়ে গেলে বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস ও ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা করানো উচিত। ডায়বেটিস বা ব্লাড প্রেশার থাকলে তা নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।
  • বছরে অন্তত একবার প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করানো ভালো।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button