লিড নিউজ

মুজিববর্ষে সমন্বয় করে কর্মসূচি দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মুজিববর্ষে বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কাজ না করে সবাইকে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে অনুষ্ঠান হাতে নিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে মুজিববর্ষের কর্মসূচি নির্ধারণ করারও নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার (২ মার্চ) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আগামী এক বছরকে মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করবে সরকার।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আমরা প্রিসাইসলি (ব্যাখ্যা) বলে দিয়েছি, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তার একটা নোটেবল প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করবে। তার নরমাল বাজেট থেকে। যদি ভিন্ন কোনো কাজ থাকে তার জন্য অতিরিক্ত টাকা চিন্তা করা যেতে পারে। কিন্তু বড় বড় বাজেট দিয়ে নতুন কাজ করার দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে এসেছে, অর্থ বিভাগ মুজিববর্ষ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রোগ্রাম নিল- ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় লাখ পেনশনারের বাড়িতে বসে পেনশন দেবে। এ প্রোগ্রামটা তারা মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরকম ভালো কোনো প্রোগ্রামকে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা যাবে।’

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো কোনো প্রোগ্রাম করতে গিয়ে যদি ফান্ড লাগে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পী আনবেন, এটার জন্য পেমেন্ট করতে হবে। স্টেজ হবে, এজন্য আলাদা টাকা দেয়া হবে না। পিডব্লিউডি তার মেইনটেইনেন্স বাজেট থেকে করে দেবে। পেমেন্টের দরকার হলে এএফডি (সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) তার বাজেট থেকে করে দেবে, এ জন্য আলাদা কোনো টাকা দেয়া হবে না।’

সচিব বলেন, ‘সবাইকে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রোগ্রাম নিতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালি বাজেট নয়, সবার নতুন নতুন কিছু করার দরকার নেই। আমার যে প্রোগ্রাম আছে মানুষের কল্যাণে বা দেশের উন্নয়নে কনট্রিবিউট করতে পারি ওটা মুবিজববর্ষের সঙ্গে মোর সিনোনিমাস। ওইজাতীয় প্রোগ্রাম, নরমাল যে প্রোগ্রামটা আছে সেটাকে আরও ইফেকটিভ করেন। অনেকে বুঝতে পারেন না, মনে করেছেন নতুন গ্রোগ্রাম নিতে হবে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button