খুলনা বিভাগসারাদেশ

কেশবপুর থানা কম্পাউন্ডে সবজির চাষ

যশোর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা অনুযায়ী দেশে কোন জমি পতিত থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসীম উদ্দীনের উদ্যোগে থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে পড়ে থাকা পতিত জমির ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে শাক-সবজির চাষ শুরু করেছেন।

বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, থানা কম্পাউন্ডের ভেতর পতিত জমির ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে ১০ টি বেড তৈরির পাশাপাশি নিচু জায়গা উঁচু করে চাষের উপযোগি করে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত লাল শাক, কলমি শাক, পঁুই শাক, সবুজ শাক, বরবটি, ঢ়েঁড়স, সিম, কঁাচা মরিচ, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ঝিংগাসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ শুরু করেছে। এ সময় ওই সবজির ক্ষেত পরিচর্যা করতেও দেখা যায়।
করোনা কালীন সময়ে প্রায় এক মাস আগে তিনি বিভিন্ন প্রকারের সবজির বীজ বপন করেন। ওই সবজির ক্ষেতের কারণে থানার বাউন্ডারির ভেতরের পরিবেশ এখন যেন সবুজের সমাহারে রূপ নিয়েছে। পাশা পাশি থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে বড় বড় গাছে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত বিভিন্ন পাখির কলতানে থানা কম্পাউন্ড মুখরিত হয়ে উঠে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা অনুযায়ী দেশে কোন জমি পতিত রাখা যাবে না।

তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আমি থানার বাউন্ডারীর ভেতরের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ শুরু করেছি। সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। সবজি চাষ করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এতে আমরা সবাই বিষমুক্ত শাক-সবজি খেতে পারব। তিনি আরো বলেন, পুলিশের এই উদ্যোগ দেখে অন্যরাও যাতে আগ্রহী হন বাড়ির অঙ্গিনায় শাক সবজী চাষ করতে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button