সাহস দেখালেন প্রেসিডেন্ট: প্রতিদ্বন্দ্বীকে মন্ত্রী বানালেন উইদোদো
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বুধবার তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে জুয়া খেললেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিতর্কিত সাবেক জেনারেল প্রাবো সুবিয়ান্তোকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। তাকে বানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মাধ্যমে জোকো সবচেয়ে বড় জুয়ার দানটি খেললেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ৬৮ বছরের প্রাবোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ১৯৯৮ সালে তার শ্বশুর সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর পতনের পর ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন স্পেশাল ফোর্সের এ সাবেক প্রধান। উইদোদোর প্রথম দফা সরকার গঠনের সময় প্রাবো ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিলেও পরাজিত হন তিনি।
চলতি বছরও নির্বাচনে উইদোদোর কাছে পরাজিত হন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে নিজের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানালেন সেই উইদোদোই। জাকার্তাভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ইভান এ বলেন, ‘জোকোইর জন্য প্রাবো অনেক বড় একটি জুয়া। জোকো উইদোদোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে তিনি চমৎকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে পারেন। অথবা প্রাবো একটি বিপর্যয় তৈরি করতে পারেন।
যার মধ্যে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্ত নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা নিয়ে আমলাতান্ত্রিক লড়াই এবং প্রতিরক্ষা খাতে রাজনীতিকরণের মতো বিষয় রয়েছে। প্রাবো অভিজাত রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন। তার প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ বাবা দেশের প্রথম দুই প্রেসিডেন্ট-সুকর্ন ও সুহার্তোর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। প্রাবোর বিরুদ্ধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে ১৯৯৮ সালে দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের সময়।
সুহার্তোর পতনের পর প্রেসিডেন্ট বিএইচ হাবিবর শপথ নেয়ার পরের দিন স্পেশাল ফোর্সের এক স্কোয়াড সেনা নিয়ে প্রাবোকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে দেখা গিয়েছিল এবং তিনি অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই প্রাবোকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়।