রংপুর বিভাগসারাদেশ

চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেললাইনে ট্রায়াল রান বাংলাদেশ রেল ইঞ্জিনের

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: ভারতের পর এবার বাংলাদেশের পালা। আর তাই এপার বাংলা-ওপার বাংলার তারকাটা বেড়ার ধারে শত শত উৎসুক জনতার ঢল। কখন আসবে ট্রায়াল রানের বাংলাদেশের রেল ইঞ্জিন। সন্ধিক্ষণে সাক্ষী থাকতে সীমান্তে এলাকায় তাই দুই দেশের অসংখ্য মানুষের ভিড়। কড়া পাহাড়ায় দাঁড়িয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরাও।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বাংদেশের চিলাহাটি ডাঙ্গাপড়া রেল স্টেশন থেকে ভারতের হলদিবাড়ি রেলস্টেশনের দিক হুইসেল বাজিয়ে ছুটে চলল ট্রায়াল রানের বাংলাদেশের রেল ইঞ্জিনটি। ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ট্রেন রুটকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

ট্রায়াল রানের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) আল ফাত্তাহ মোঃ মাসউদুর রহমান। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পশ্চিম) মোঃ শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমানসহ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বাংলাদেশের রেল ইঞ্জিনটি নো-ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতের সীমানা পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী জেপি শিং, উপ-প্রধান প্রকৌশলী ভিকেমিনা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) আল ফাত্তাহ মোঃ মাসউদুর রহমান বলেন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথটিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বান্ধব রেলপথ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই ট্রেন রুট ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে মালামাল পরিবহন করতে পারবে। ফলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও এই পথে আমদানি রপ্তানি করা যাবে। উল্লেখ গত ৮ অক্টোবর ভারতের অংশে বিছানো রেল লাইনে তাদের রেল ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান করেন।

 

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button