বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

আর ‘ফ্রি’ নেই ফেসবুক!

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘ফেসবুক’। এটি ব্যবহারে কোনো আর্থিক সাহায্যেরও প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ বিনা টাকাতেই চালানো যায় ফেসবুক। এই বিনা পয়সা বা ‘ফ্রি’ এর কথা অবশ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষেরই বলা।

ফেসবুক হোমপেজের স্লোগানই ছিল এই সম্পর্কিত। অর্থাৎ বিনা পয়সায় ফেসবুক ব্যাবহারের বিষয়টি এতদিন ব্যাপকভাবে প্রচার করে আসছিলেন তারা। তবে চলতি মাসের শুরুতে নিজেদের স্লোগানে বদল এনেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ইউএসএ টুডেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক দশক ধরে ফেসবুকের সাইন আপের পাতায় তাদের স্লোগান হিসেবে ছিল ‘ইটস ফ্রি অ্যান্ড অলওয়েজ উইল বি’। যার অর্থ দাঁড়ায়, ফেসবুক বিনামূল্যে ব্যবহার্য এবং এটি এমনই থাকবে।

কিন্তু গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিজনেস ইনসাইডারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এ মাসের ৭ তারিখ থেকে ফেসবুক তাদের ট্যাগলাইন বদলে ফেলেছে। বর্তমানে ফেসবুকের সাইন আপের পাতায় গেলে দেখা যায় ‘ইটস কুইক অ্যান্ড ইজি’। যার অর্থ দাঁড়ায় দ্রুত ও সহজ।

ট্যাগলাইনের এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ফেসবুক জানান দিলো যে এটি আর বিনা পয়সার কোনো মাধ্যম নয়। তবে ঠিক কী কারণে এ পরিবর্তন তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা এখনও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার আইন বিভাগের অধ্যাপক মার্ক বার্থোলোমিউ বলেন, ফেসবুকের এমন পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে জনসাধারণের মনোভাব। তারা এখন আর ফেসবুককে বিনা পয়সার সেবা ভাবেন না। এটি এখন স্রেফ ফাঁকা বুলি।’

তিনি আরও বলেন, গতানুগতিকভাবে এ কথা বলা যায় যে, যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তারা ফেসবুকের পণয়। আর এখন সবাই বুঝতে পারছেন যে ফেসবুক তাদের ওপর নজরদারি করে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সে অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখায়। অর্থাৎ, এটি পাবলিক সার্ভিস নয়।

ফেসবুকের এক মুখপাত্র ইউএসএ টুডেকে বলেছেন, ফেসবুক চালাতে কখনোই পয়সা নেওয়া হবে না। ফেসবুকের পণ্য, ল্যান্ডিং পেজ নিয়মিত নতুন করে সাজানো হয়।

মূলত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এ সাইট সম্পর্কে ধারণা বদলানোর বিষয়টিই নতুন স্লোগানে উঠে এসেছে। ২০১৮ সালে মে মাসে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছিলেন যে তার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে সবসময়ই একটি ফ্রি ভার্সন থাকবে। কিন্তু এ কথা এখনও অস্পষ্ট যে কোম্পানিটি এখন পেইড ভার্সনের প্ল্যান করছে কি না।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button