শেরপুরে মোবাইলে পরিচয়ের জেরে যুবতীকে অপহরণ করে ধর্ষন: ধর্ষক ও সহযোগী গ্রেফতার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের জের ধরে এক যুবতীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা হয়েছে। একইসাথে ধর্ষক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন: ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম তারেক(২৫) ও একই উপজেলার নলডাঙা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাবলু মন্ডলের ছেলে ওয়াসিম মন্ডল(২৫। এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপর আসামী হলেন ধুনট পুরাতন পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে রানা মিয়া(২৫)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস পূর্বে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে ধর্ষক তরিকুল ইসলাম তারেকের সাথে শেরপুর শহরের খন্দকারপাড়া এলাকার ওসমান আলীর মেয়ে উম্মে হাবিবা রতœার(১৫) মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরই সুত্র ধরে গত ১৩ জুন বেলা বারটার দিকে আসামী তারেক ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে বাড়ির পাশের্^ প্রোগ্রেসিভ স্কুলের নিকট আসতে বলে। রতœা উক্ত স্থানে আসলে আসামী তারেক ও তার সহযোগীরা তাকে জোড়পূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে ধুনট হাসপাতাল রোড পুরাতন পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অবস্থিত আসামী রানার বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় আসামী তারেক মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে আসামী তারেক ও ওয়াসিম তাকে মোটরসাইকেলে করে শালফা ব্রিজ এলাকায় রেখে চলে যায়। মেয়েটি বাড়িতে এসে বাবা মাকে ঘটনাটি বললে তার বাবা বাদি হয়ে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এরই ধারাবাহিতকতায় শেরপুর থানার এস.আই তন্ময় বর্মণ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ধুনটে অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেন।
শেরপুর থানার এসআই তন্ময় বর্মণ জানান , এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।