সৈয়দপুরে বাড়ির সীমানায় বৃক্ষরোপনকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় এক বৃদ্ধ নিহত, মা ও মেয়ে আটক
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়ির সীমানায় বৃক্ষের চারা রোপনকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে, নুর ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় শহরের গোলাহাট ডাঙ্গাপাড়া মৌজার মোড় এলাকায় ওই মৃত্যু ঘটনাকে কেউ কেউ হার্টএ্যাটাক (হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ) বললেও তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে দাবি পরিবারের সদস্যদের। ফলে ওই মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন নিহত ওই বৃদ্ধের ছেলে নূর আলম ওইদিন বিকেলে তাদের বাড়ির সীমানায় কাঠাল গাছের চারা রোপন করে। কিন্তু সন্ধার পর তার প্রতিবেশি রেলওয়ে এ্যাকাউন্ট অফিসের কর্মচারী মৃত গহের উদ্দীনের ছেলে গিয়াস উদ্দীন গাছের চারা তাদের জমিতে রোপন করা হয়েছে দাবি করে তা তুলে ফেলে। গাছ তুলে ফেলার কারন জানতে নিহত নূর ইসলাম ও তার ছেলে নূর আলম গিয়াস উদ্দীনের বাড়িতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাধে। নিহতের ছেলে রুহুল আলমের স্ত্রী খাদিজা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে গিয়াস উদ্দীনের বিবাদ চলে আসছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমার শ্বশুরকে গিয়াস উদ্দীন, তার শ্যালক, স্ত্রী এবং তার তার মেয়ে গলা চেপে ধরে এতে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত নুর ইসলামের ছেলে ওই ঘটনায় আজ সকালে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, প্রতিবেশীর গৃহকর্তা গিয়াস উদ্দিন, তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম, কন্যা আয়শা সিদ্দিকা, পারুল বেগম ও আসমানী। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ঘটনাটি জানার পর লাশটি হাসপাতাল থেকে থানায় আনা হয়েছে। গিয়াস উদ্দীনের মেয়ে আয়েশা ও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এই মুহুর্তে কিছুই বলা সম্ভব না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে আসলে স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা।