দৈনন্দিন বাজার থেকে আনা পণ্যের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস!

বাসায় থাকাকালীন করোনা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আমাদের কিনে আনা সব্জি, মাছ-মাংশ, ডিম এবং অন্যান্য প্যাকেটজাত খাবার থেকেও হতে পারে ৷ তাই এক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরী৷ আমার মনে হয়, নীচের নিয়মগুলো অনুসরন করলে, এই ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

# মাস্ক, গ্লাভস, চশমা পরে বাজার করতে যান৷ মহিলারা মাথায় ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার করবেন আর পুরুষরা পারলে টুপি পরবেন৷

# জুতা বা স্যান্ডেল অবশ্যই দরজার বাইরে খুলে বাসায় ঢুকবেন৷

# বাসায় এসে বাজারের ব্যাগ বা প্যাকেটগুলো অন্য কাউকে ধরতে দেবেন না৷ যিনি আনবেন তিনিই সাবধানে সব কিছু সংরক্ষন করবেন৷

# ডিম এবং ফলগুলো সাবান দিয়ে ধুতে হবে৷ যেসব ফল সাবান দিয়ে ধোয়া সম্ভব না, সেগুলো হালকা গরম পানিতে ভিনেগার দিয়ে আধা ঘন্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে৷

# যেসব প্যাকেটের ভেতর ফয়েল প্যাকেট থাকে যেমন, গুড়োদুধ, কিছু বিস্কুট ইত্যাদি… সেগুলোর বাইরের কাগজের প্যাকেট ফেলে দেবেন৷

# কিছু শাকসব্জি যেগুলো সাবান দিয়ে ধোয়া সম্ভব না, সেগুলোকে বারান্দা বা অন্য কোন জায়গায় ২৪ ঘন্টা রেখে দেবেন। আর যেগুলো দ্রুত ব্যবহার করতে হবে সেগুলো ভিনেগার পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে৷

# মাছ-মাংশ ভালভাবে ধুয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেবেন৷

# এসব ধোয়ার সময়ও গ্লাভস পরা উচিত। সেসময় যদি চোখ চুলকায় বা মাথা চুলকায় তাহলে অন্য কারো সাহায্য নেবেন কিন্তু নিজের হাত বা কনুই ব্যবহার করবেন না। সাহায্যকারীও এরপর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলবে৷

# খাবার-দাবার ছাড়া অন্যান্য সকল প্রয়োজনীয় জিনিষ- যেমন সাবান, শ্যাম্পু, রেজর, ওয়াশিং পাউডার ইত্যাদি এক থেকে দুদিন আলাদা যায়গায় প্যাকেটসহই রেখে দিন৷

# সবকিছু হয়ে গেলে পরনের কাপড়, গ্লাভস খুলে ড্রেসগুলো সাবান পানিতে চুবিয়ে তারপর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন৷ ভালো হয় গোসল করে নিলে৷ তারপর নতুন পোশাক পরবেন।

# সমস্ত রকম রান্নাই যেন বেশী সময় ধরে ভালোভাবে রান্না হয় এবং অন্ততপক্ষে আধা সেদ্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন৷

# হাতের নখ ছোট রাখবেন বিশেষ করে মহিলাগন। যেসব ভাইরাস নখের ভেতর থাকে, সেগুলো সাবানে যায়না।

# মানিব্যাগ, চশমা, মোবাইল বাইরে থেকে এসে আন্টিসেপ্টিক সলিউশন বা স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।

# ঘর মুছতে ২০ লিটার পানিতে ১ টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।

# প্রতিদিন আধা ঘন্টা ব্যায়াম করবেন।

# প্রতিদিন আট ঘন্টা ঘুমাবেন।