দুর্যোগসারাদেশ

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ : বগুড়ায় তুফানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

বগুড়ার কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম ফজলুল হক শুনানি শেষে চার্জ গঠন করেন। এছাড়া তুফানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়

আগামী ১৯ এপ্রিল মামলার বাদী ও ভিকটিমের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে তারা হলেন-বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকার, তার স্ত্রী তাসমিন রহমান আশা, আশার বোন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি, তাদের মা লাভলী রহমান রুমি, তুফান বাহিনীর সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, মো. মুন্না, আলী আজম দিপু, মেহেদী হাসান রূপম, সামিউল হক শিমুল এবং এমারত আলম খান জিতু। এদের মধ্যে তুফান ছাড়া অন্যরা জামিনে আছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ভালো কলেজে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে তুফান সরকার ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক ছাত্রীকে বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়াগুদাম লেনের বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তুফান। এ ঘটনা কাউকে বললে বোমা মেরে বাড়ি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

তুফানের স্ত্রী আশা, শ্যালিকা রুমকি ও শ্বাশুড়ি রুমি উল্টো ওই ছাত্রীকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন। ওই বছরের ২৮ জুলাই তাদের নির্দেশে ছাত্রী ও তার মাকে পৌর কাউন্সিলর রুমকির বাদুড়তলার বাড়িতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আতিক, দিপু, রূমন, মুন্না মিলে ছাত্রী ও তার মাকে চার ঘণ্টা ধরে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। মোবাইল ফোনে এ দৃশ্য ধারণও করা হয়। প্রথমে কাঁচি দিয়ে মা ও মেয়ের চুল কেটে দেয়া হয়। এতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে নাপিত ডেকে মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই ছাত্রীর মা সদর থানায় তুফান সরকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button