আইন-আদালত

বগুড়ার মেয়ে সেমন্তির আত্মহত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের

বগুড়ার ওয়াইএমসিএ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মাঈশা ফাহামিদা সেমন্তির (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সেমন্তির বাবা ব্যবসায়ী হাসানুল মাশরেক রুমন মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বগুড়ার সিআইডি পুলিশকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, বগুড়া শহরের জেল বাগান লেনের জলেশ্বরীতলার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ এবং নেটপ্রো স্কুল সংলগ্ন জলেশ্বরীতলার জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তুকে। আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেমন্তির নগ্ন ছবি ছেড়ে দেয়ার কারণে সে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন মর্মে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুন রাতে আসামি আবির আহমেদ বাদীর মোবাইল ফোনে জানায়, সেমন্তি আত্মহত্যা করতে পারে। বাদী তাৎক্ষণিক মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, আবিরের সঙ্গে তার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। তার কুপরামর্শে সেমন্তি মোবাইলে কিছু নগ্ন ছবি তোলে। যা সেমন্তির মোবাইল থেকে আবির তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। যার মধ্যে একটি ছবি শাহরিয়ার অন্তুর নিকট আবির পাঠায়। পরে দুইজন মিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বাদী ঘটনা শুনে মেয়েকে সান্তনা দিলেও ওইদিন রাতের যে কোন সময় সেমন্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

মামলায় আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে আবির ও অন্তু সেমন্তির সঙ্গে ৯১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলে। যা প্রমান করে আসামিরা ভিকটিমকে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। এছাড়া সেমন্তি মারা যাওয়ার পর আসামি আবির গত ২১ জুন রাতে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সেমন্তির নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেয়।

বাদী রুমন জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে তার ছোট মেয়ে অসুস্থ হয়। তখন প্রতিবেশী তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির রক্ত দেয়। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর সেমন্তি ও আবিরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে আবিরের ফাঁদে পড়ে সেমন্তি। যার পরিণতি হিসেবে আমার মেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button