আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের মামলায় আদালতের মুখোমুখি অ্যাসাঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের মামলায় সোমবার লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। আদালতে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু স্থগিত রেখে প্রমাণ উপস্থাপনে আরও সময় চান। তবে আদালতের পক্ষ থেকে শুনানি বিলম্বিত করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। বিচারক জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হবে। এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। গত ১১ এপ্রিল রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ব্রিটিশ আদালত। তখন থেকে বেলমার্শ নামক ‘যুক্তরাজ্যের গুয়ানতানামো বে’ খ্যাত কুখ্যাত কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে। ১ মে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ৫০ সপ্তাহের সাজা ঘোষণা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

বিচারের মুখোমুখি করতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সোমবার অ্যাসাঞ্জ ও সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি শুরুর সময়সূচি ও প্রমাণ উপস্থাপনের সময়সীমা নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি উপস্থাপন করেন। তবে বিচারক ভ্যানেসা বারাইটসার শুনানি বিলম্বিত করতে অস্বীকৃতি জানান। অ্যাসাঞ্জকে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হবে আগামী বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি।

সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে স্পেনের একটি নিরাপত্তা কোম্পানিকে নিয়োগ করেছিলো। ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে স্পেনের আদালত। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী লন্ডনের আদালতে প্রমাণ প্রস্তুতের জন্য আরও বেশি সময়ের আবেদন করেন। যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে প্রসিকিউটর জেমস লুইস কিউসি প্রমাণ প্রস্তুত করতে অ্যাসাঞ্জকে বেশি সময় দেওয়ার জোরালো বিরোধিতা করেন।

গত এপ্রিলে লন্ডনে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সোমবার তৃতীয়বারের মতো অ্যাসাঞ্জ আদালত কক্ষে প্রবেশ করলে পাবলিক গ্যালারিতে উপস্থিত মানুষ তার প্রতি সংহতি জানায়। এই সময় সেখানে অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের সাবেক মেয়র কেন লিভিংস্টোন ও সাংবাদিক জন পিলজার।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button