শিক্ষাঙ্গন

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিতর্ক

দেশে প্রথমবারের মতো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা। এই ভর্তি পরীক্ষার বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, গেল ১৭ অক্টোবর ভর্তির আবেদন শেষ হয়। এতে মোট আসন সংখ্যার মাত্র ১০ গুন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা অংশ হতে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। অথচ তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে পরীক্ষার ফি। টাকা দিয়ে আবেদন করার পরও ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করছেন বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

জানা যায়, প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে আয়োজিত দেশের পাঁচটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও দুইটি কৃষি সংশ্নিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ৩ হাজার ৫৫৫ আসনের বিপরীতে প্রায় ৭৪ হাজার ৪৫৬টি আবেদন জমা পড়েছে। সমন্বিতভাবে আয়োজিত এই ভর্তি পরীক্ষার ফি এক হাজার টাকা ধার্য করে কর্তৃপক্ষ। আসন সংখ্যার ১০ গুণ প্রার্থীকে বাছাই করার কারণে শুধু মোট জিপিএ ৯ দশমিক ১৫ (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) বা এর ঊর্ধ্বের আবেদনকারীরা প্রবেশপত্র পাচ্ছেন, যাদের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৫৫০।

প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ছেন প্রায় ৩৯ হাজার ভর্তিচ্ছু। এতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগকারীরা বলেন, কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার মতো না।

গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন একটি পরীক্ষা দিয়েই ভর্তি হতে পারে। কিন্তু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কারণে কেবল মোট জিপিএ ৯ দশমিক ১৫ না থাকায় একই সঙ্গে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যদি গুচ্ছ পদ্ধতি না থাকত তাহলে আমাদের সন্তানরা ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে নিজেদের মেধাকে অন্তত যাচাই করতে পারত। তারা দাবি করেন, জিপিএ মেধার কোনো মানদণ্ড হতে পারে না। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা যদি শুধু ফরম বিক্রি করে টাকা আয়ের উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয় তবে আমরা তা চাই না। আবেদনকারী সবাইকেই মেধা যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের’ চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে তারাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে পরিষদের কিছু করার নেই। তবে সবাইকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সুযোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলাম আমি।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button