সারাদেশ

বগুড়ার শেরপুরে প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করায় প্রেমিক গ্রেফতার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল করায় হাসান ফেরদৌস (৩২) নামে এক প্রতারক প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের ফজলুল হক সরকার দুদুর ছেলে। তার বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাবা আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার পারভবানীপুর গ্রামের হাসান ফেরদৌস নামের ওই প্রতারক প্রেমিকের সঙ্গে একই গ্রামের এক গৃহবধূ নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এই সুযোগে তিনি গোপনে ওই নারীর বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ছবি তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জেরে ওই নারীকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য গত ০১মার্চ রাতে সেইসব আপত্তিকর ছবি তার এক বন্ধুর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেন। এমনকি পরবর্তীতে এসব ছবিগুলো ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে ভাইরাল করা হয়।

মামলার বাদি আব্দুস সামাদ জানান, তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। মাস তিনেক আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেন। তার মেয়েও একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কিন্তু মেয়ের সংসার ভাঙতেই লম্পট হাসান ফেরদৌস এ ধরনের কর্মকা- ঘটিয়েছেন। এতে করে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এছাড়া ওইসব ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার ভয়াবহ পরিণাম হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন লম্পট ফেরদৌস। এরপরও আইনের আশ্রয় নিয়েছি। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে আদালতে পাঠিয়েছে। এতে করে তাদের মধ্যে সাময়িকভাবে স্বস্থি ফিরলেও জামিনে বের হয়ে আসার পর পরিস্থিতি কী-হয় তা নিয়ে নানামুখি শঙ্কার মধ্যের রয়েছেন বলেও জানান বাদি আব্দুস সামাদ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার মূল নায়ককে তার মোবাইল ফোন জব্দ করাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে ঘটনায় জড়িত অন্য কারোর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া হাসান ফেরদৌস স্বীকার করেছেন, ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে মোবাইলফোনে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ছবি ধারণ করেন তিনি। এখন তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তবে ছবিগুলো কি-ভাবে ছড়িয়ে পড়লো তা তিনি বুঝতে পারছেন বলে দাবি করেন এই প্রতারক প্রেমিক।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button