অর্থনীতি

নভেম্বরের শেষে পেঁয়াজ রফতানি শুরু করতে পারে ভারত

পুরনো এলসির বিপরীতে আসা পেঁয়াজ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০টাকা করে। একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে তা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেয়াঁজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের আশা, নভেম্বরের শেষের দিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে। তখন দাম স্বাভাবিক হতে পারে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এতে আমরা মতো সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ছে। বাজারে কোনও ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার দাম কমানোর কথা বললেও তা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে নিম্ন আয়ের লোকজনের খুব কষ্ট হচ্ছে।’ পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেটা বেড়ে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় বেশি দামে কিনছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।’

পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, পেঁয়াজ সংকট ও মূল্য দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। বন্ধের আগে খোলা এলসিতে এক হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত। বাকি পেঁয়াজ দুর্গাপূজার ছুটি শেষে রফতানির কথা বললেও ২২ অক্টোবর মাত্র একজন আমদানিকারকের ৫০ টন পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত। বন্দর দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি একেবারে বন্ধ রয়েছে। এখনও অনেক আমদানিকারকের পেঁয়াজের এলসি রয়েছে। সেগুলোর বিপরীতে হয়তো পেঁয়াজ দেবে ভারত। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুরনো এলসির পেঁয়াজ আমরা নিতে পারবো। ভারতীয় রফতানিকারকদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আশা করছি, নভেম্বরের শেষের দিকে পেঁয়াজ রফতানির ওপর হয়তো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে পারে ভারত। তবে দেশীয় পেঁয়াজ উঠলে দাম কমবে।’

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button