সারাদেশ

করোনা: নারায়ণগঞ্জে নারীসহ দুইজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ ২২ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত এ জেলায় গত রোববার এক নারীসহ দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রোববার সকালে ফতুল্লার দেওভোগ এলাকার মনির হোসেন (৬৫) ও রাতে ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকার রহিমা বেগম (৫০) মারা যান। দুইজনই রাজধানীর কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত রোববার পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৭ জন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজ বিভা গণমাধ্যমকে জানান, ১২ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মনির হোসেন (৬৫) নামের আরেকজন ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মনির হোসেন দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি গত ৯ এপ্রিল অসুস্থ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে কুয়েত মৈত্রীতে পাঠান।

সেখানে নমুনা সংগ্রহের পর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত রোববার দুপুরে পরিবার জানতে পেরেছে তিনি মারা গেছে। এখন পরিবারের সবাই যেহেতু তার সেবা করেছে তাই তাদের টেস্টের ব্যবস্থা করছি। মৃতদেহ ইতোমধ্যে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে দাফন করা হয়েছে।

রোববার রাতে মারা যান পূর্ব ইসদাইর এলাকার রহিমা বেগম (৫০)। ওই এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী।

রহিমার মেঝ ছেলে রিপন জানান, শনিবার তার মায়ের প্রেসার ও ডায়াবেটিক সমস্যা বেড়ে যায়। পরে রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় রহিমা বেগমকে।

করোনা উপসর্গ থাকায় সেখান থেকে পাঠানো হয় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। সেখানেই রোববার রাতে মারা যান। পরে নমুনা সংগ্রহের পর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

রিপন আরও জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা নিজেরাই লাশ দাফন করবে। আর সোমবার সকালে এসে তাদের বাড়ির সবার নমুনা সংগ্রহ করবে। এ বাড়িতে রহিমা বেগমের তিন ছেলে, স্বামী ও ভাড়াটিয়াসহ ১১ জন সদস্য রয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, পরিবারের সদস্যদের দূরত্ব বজায় রেখে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। সোমবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে পরিবারের অন্য সদস্যদের।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button