কাল থেকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে হার্টের রোগীদের স্টেনটিং কার্যক্রম শুরু

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আগামীকাল শনিবার থেকে হার্টের রোগীদের স্টেনটিং বা রিং পড়ানো কার্যক্রম শুরু হচেছ। এতদিন ওই হাসপাতালে শুধু এনজিওগ্রাম করা হলেও এনজিওপ্লাস্টি বা স্টেনটিং করা হতো না। রিং পড়ানোর কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বগুড়াসহ আশে-পাশে জেলাগুলোর হার্টের রোগীরা খুব স্বল্প খরচে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। অপরদিকে শনিবার থেকে শজিমেক হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর জন্য ফাইজারের টিকা ১৮ বছরের উর্ধ্বে সাধারণ মানুষের মাঝে দেওয়া হবে।
২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট বগুড়া শহরের ছিলিমপুরে শজিমেক হাসপাতালের উদ্বোধনের কয়েক মাস পর ওই হাসপাতালে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এনজিওগ্রাম চালু করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন এনজিওগ্রাম বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে নতুন মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে আবারও এনজিওগ্রাম চালু করা হয়। কোভিড-১৯এর কারণে আবারো বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে চালু হয় এনজিওগ্রাম। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্পের তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল জানান, হাসপাতালটি চালুর কিছুদিন পর ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রবাসী ও কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাঃ সুফিয়া রহমান এসেছিলেন বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পরিদর্শন করতে। তিনিই প্রথম হাসপাতালে ৭টি রোগীর এনজিওগ্রাম করার মাধ্যমে এনজিওগ্রাম চালু করেন।
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগিতায় কাল থেকে হাসপাতালে স্টেনটিং বা রিং পড়ানো কার্যক্রম শুরু হবে। ওই হাসপাতালের ১৩ সদস্যের একটি টিম বগুড়ায় আসছে। তারাই স্টেনটিং করবেন। এরপর থেকে এখানে সপ্তাহে ২ দিন করে রিং পড়ানো হবে। এতে করে বগুড়াসহ আশে-পাশের জেলার হার্টের রোগীরা খুব স্বল্প খরচে এখানে হার্টের চিকিৎসা করাতে পারবেন।
ডাঃ ওয়াদুদ বলেন, পাশাপাশি কাল থেকে এই হাসপাতালে সবার জন্য ফাইজারের টিকাও উম্মুক্ত করা হবে। এতদিন শুধু মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ ১৮ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাল থেকে সবাই এ টিকা পাবে।