জাতীয়

বগুড়ায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু

বগুড়ায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই নারীসহ ১৬ জন এবং ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হলো। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা অধিকাংশ মৃতদেহের দাফন ও সৎকার করেছেন।

মৃতরা হলেন- বগুড়া শহরের মালতিনগর বক্সিবাজার এলাকার ব্যবসায়ী বিজন কুমার নিয়োগী (৫২), শহরের ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সেক্রেটারি মমতাজুর রহমান (৭২), শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল দেউলী এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী রাব্বী (৪৫) ও শহরের কলোনী এলাকার বাসিন্দা ও সবুজ মেডিকেল স্টোরের ম্যানেজার শামীম আহম্মেদ ভুলু (৪৫)।

ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ব্যবসায়ী বিজন কুমার নিয়োগী করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আইসোলেশনের ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অ্যাম্বুলেন্সে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশনে আনা হলে রাত ৮টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সেক্রেটারি মমতাজুর রহমান করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হন। নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ হন।

শারিরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্বজনরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে চান। শুক্রবার বিকালে রিলিজ দিলে স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের দিকে রওনা হন। রাতে হাসপাতালের গেটে পৌঁছলে তার মৃত্যু হয়।

ডা. শফিক আমিন কাজল আরও জানান, ওষুধ ব্যবসায়ী রাব্বী করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী আইসোলেশনে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

এছাড়া শামীম আহম্মেদ ভুলু করোনা উপসর্গ ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আইসোলেশনে ভর্তি হন। রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

মৃত মমতাজুর রহমান বাদে বগুড়া মোহাম্মদ আলী আইসোলেশনে মোট ২৪ জনের মৃত্যু হলো। এদের মধ্যে আটজন করোনা আক্রান্ত হয়ে ও ১১ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। উপসর্গ নিয়ে মৃত ছয়জনের ফলাফল নেগেটিভ হয়েছে। অবশিষ্ট পাঁচজনের ফলাফল পাওয়া যায়নি।

বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের সহকারি নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানে ১৪ জন, একজন বাড়িতে ও অপরজন ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। এ নিয়ে এ জেলায় ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এছাড়া ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার অর্গানাইজার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দুজন সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে মৃত প্রায় সবাইকে দাফন এবং সৎকার করা হয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button