রাজশাহী বিভাগ

বগুড়ায় ১০ মেট্রিকটনের বেশি মিষ্টি বিক্রি

এইচএসসি পরিক্ষার রেজাল্টের পর জিপিএ ৫ এর ছাড়াছড়িতে বগুড়ার বাজার থেকে মিষ্টি উধাও। জেলার শীর্ষ ৮ কলেজ থেকে ৫ হাজার ১২৬ জন জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তিন্ন হয়েছে। আর এ কারণে জেলা শহরে আজ প্রায় ১০ মেট্রিকটন মিষ্টি বিক্রি হয়েছে।
রোববার সারা দেশের মত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। বোর্ডে পাশের হার ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। তবে বগুড়ার কলেজ গুলোতে পাশের হার বোর্ডের হারকে হার মানিয়েছে। বগুড়ার বহু কলেজে শতভাগ শিক্ষার্থী ছাত্র পাশ করেছে। এক কথায় যে শিক্ষার্থীরা পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে তারাই পাশ করেছে। সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে তিন জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে না পারায় ওই তিন জন ছাড়া সকলেই পাশ করেছে। করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, আমর্ড পুরিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ, বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৮১০ জন পরিক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৮০৯ জন। শীর্ষ ৮ কলেজের মধ্যে আজিজুল হককলেজ থেকে ১৫৫১ জন, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে ৯৬৭জন, মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ থেকে ৮৬৯ জন, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৬৬৪ জন, বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৪৯ জন,পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০৯ জন, আমর্ড পুরিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪০১ জন এবং করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২১৬ জন জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তিন্ন হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য কলেজেও পাশের হার উল্লেখ যোগ্য। একই সাথে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যাও উল্লেখ যোগ্য। মাত্র ৮টি কলেজের জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় শহরে পরিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চলছে মিষ্টি বিতরণ। সন্তানের সাফল্যে মিষ্টি বিতরণে কার্পণ্য করেননি অভিভাবকরা। রেজাল্ট প্রকাশের পর থেকেই মিষ্টির দোকান গুলোতে লম্বা ভীর লক্ষ্য করা গেছে। বিকেল হওয়ার আগেই মিষ্টির দোকান ফাঁকা হয়ে যায়। বগুড়ার নামীদামি হোটেলও মিষ্টির দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তারা এইচ এসসি পরিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের কারণে প্রতিদিনের তুলনায় বেশি মিষ্টি তৈরী করেছে। অনেকে দইয়ের সরবরাহ কমিয়ে মিষ্টির সরবরাহ বাড়িয়েছে। তবে কোন দোকানী কত মিষ্টি বিক্রি করেছে এর সঠিক তথ্য সহজে কেউ দিতে পায়নি।
দুপুরে শহরের কবিনজরুল ইসলাম সড়কে, এশিয়া সুইটস, আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেল, শ্যামলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট‘র শো রুম গুলোতে গিয়ে দেখা গেছে লাইন দিয়ে মিষ্টি কিনছেন অভিভাবকেরা। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কম করে হলেও তারা প্রতিজন ২ কেজি মিষ্টি কিনছেন।

আরো দেখুন

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button