ভোলাহাটে ভোট কারচুপির অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ৭ নং ভোট কেন্দ্রের ভিতরে থাকা ১হাজার ৭’শ ভোটারকে ভোট প্রদান থেকে বিরত রেখে পরিকল্পিত ভাবে বিকেল ৫টার পর কেন্দ্র বাতিলের ঘোষণা ও দায়িত্বের অবহেলার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইয়াজদানী আলীম আলরাজি জর্জ।’
৩ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ পত্রে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইয়াজদানী আলীম আলরাজি জর্জ অভিযোগে বলেন, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ভোলাহাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ৭ নং ভোট কেন্দ্র রামেশ্বর পাইলট ইনস্টিটিউশনে দুপুর ১ টা থেকে ভোট গ্রহণের শেষ সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১হাজার ৭’শ জন নারী পুরুষ ভোটার ভোট প্রদানের জন্য লাইনে অবস্থান করেন। ভোট কেন্দ্রে অবস্থানরত ভোটারেরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পেরে প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ শাহরিয়ার আলম শুভকে উদ্দেশ্য করে ভোটারেরা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন। অভিযোগে আরো বলা হয়, রহস্যজনক কারণে বিকেল ৫টায় লিখিত ভাবে ভোট কেন্দ্র বাতিলের ঘোষণা দেন প্রিজাইডিং অফিসার। এ ভোট কেন্দ্রে পরিকল্পিত ভাবে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা, অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে কেন্দ্র বাতিল করার কারণে প্রতিকারের দাবীতে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী করেন এ চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ইয়াজদানী আলীম আলরাজি জর্জ।’
তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুলিপি প্রেরণ করেন।’
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ শাহরিয়ার আলম শুভর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাড়ে ৩টার দিকে বাইরে ককটেলের শব্দ পেয়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে কেন্দ্রটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বে থাকা এস আই আব্দ্লু খালেক জানান, এখানে আইনশৃংখলার কোন অবনতি হয়নি।’