সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় উপসর্গে মৃত্যু ৬, শনাক্ত ৬.৩৮ শতাংশ
সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন নারীসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গেনিয়ে মারা গেলেন ৬৪৮ জন। আর করোনায় মৃত্যু হলো ৮৮ জনের।
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ছয় দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা আগস্ট মাসের প্রথম থেকে কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে। করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত করোনায় কেউ মারা যাননি। আগস্ট মাসে মারা যান তিন জন। তবে, শুক্রবার করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ চার জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিন নারীসহ ছয় জন।
তিনি বলেন, ১৫-৩০ জুন করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯৫ জন ও করোনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১-৩১ জুলাই এ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৮৯ জন ও করোনায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ১-৩১ আগস্ট পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০১ জন ও করোনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ১-৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে করোনায় কেউ মারা না গেলেও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ১১ জন। সব মিলিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৪৮ জন ও করোনায় ৮৮ জন।
ডা. কুদরত-ই-খোদা আরও জানান, হাসপাতলে করোনা উপসর্গ ও করোনা রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। ১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা গড়ে ছিল ২৬০-২৮৫ জন। আগস্ট মাসের প্রথম থেকে রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। আজ শনিবার রোগীর সংখ্যা ১০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন নয় জন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন সাফায়াত হোসেন জানান, আগস্ট মাস থেকে ধীরে ধীরে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ছয় দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তের হার ছিল একই। ১ আগস্ট ২৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয় ৮২ জনের। শনাক্তের হার ছিল শতকরা ২৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। তারপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। ১৫ আগস্ট থেকে শনাক্তের হার ৭-১২ শতাংশের মধ্যে ওঠা-নামা করেছে। জুন মাসে গড় হার ছিল ৫০-৬৪ শতাংশ, জুলাই মাসে গড় হার ছিল ৩৫-৪০ শতাংশ।