ডোমারে কৃষকের ফসলের হাসি কেড়ে নিল নেক ব্লাস্ট
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে চলতি বছর বোরোর বাম্পার ফলনে মনে হয় যেন মাঠভরা ফসলের হাসি। কিন্তু মাঠের সেই হাসি ম্লান করে দিয়েছে ধানের নেক ব্লাস্ট রোগ। এ রোগে অনেক কৃষকের আংশিক আবার অনেকের সিংহভাগ ক্ষেতের ধান চিটা হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়া সেইসব কৃষক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার খামার বামুনিয়া এলাকার আব্দুল গনি নামের এক কৃষক বলেন, আমি এবার সাড়ে চার বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম কিন্তু এর মধ্যে ২বিঘা জমির ৮০ শতাংশ ধান ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়ে গেছে। ওই এলাকার আমিনুর, খালেক, মতিয়ার জিকরুলসহ আরো অনেক কৃষক প্রায় একই রকম অভিযোগ করে জানায় তাদের জমির ধান ওই রোগে নষ্ট হিয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা ধানক্ষেত পরিদর্শন না করেই দুটি ওষুধ ছিটানোর পরমর্শ দেন। তাদের পরামর্শে ওষুধ ছিটানোর ফলে এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
প্রশিকার মোড় এলাকার আলিমুদ্দীন নামের এক কৃষক বলেন, আমি জমিতে ব্রি-২৮ ধানের আবাদ করেছিলাম। ফলনও খুব ভাল হয়েছিল কিন্তু ব্লাস্ট আমার সব ধান চিটা করে দিল। কৃষি অফিস থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ চেয়েও কোন সহযোগিতা পাইনি।
আমিনুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, দুইমাস মাস যাবৎ কোন কাজ নাই। ধানের ভাল ফলন দেখে স্বস্তিতে ছিলাম। ধানগুলো চিটা হওয়াতে সব শেষ হয়ে গেছে। বিএস যদি সঠিক সময়ে পরামর্শ দিতেন তাহলে হয়তো ওই রোগ বিস্তার লাভ করত না। তবে উপজেলা কৃষি দপ্তর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে বলে দাবি করন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান বলেন, করোনা মহামারিতেও আমরা কৃষকদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। কিছু জায়গায় নেক ব্লাস্টের কারণে ধান চিটা হয়েছে। তিনি অবশ্য এক পর্যায়ে বলেন, নেক ব্লাস্ট শুধু ব্রি-২৮ জাতের ধানকেই আক্রমন করে থাকে। এ জন্য কৃষকদের ওই জাতের ধান চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়ে থাকে।