আরও আগ্রাসী পাকিস্তান, শ্রীনগরের কাছেই তৈরি হচ্ছে যুদ্ধবিমান ঘাঁটি
শ্রীনগর থেকে মাত্র ১৫০ কিমি দূরে সামরিক বিমানঘাঁটি তৈরি করার পরিকল্পনা করল পাকিস্তান। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের কাশ্মীর-খাইবার পাখতুনখোয়া সীমান্তের কাছে পাক বায়ুসেনার এই বিমানঘাঁটি ভারত-পাক সাম্প্রতিক সম্পর্ক ঘিরে তৈরি উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করল।
জানা গিয়েছে, বিমানঘাঁটি প্রকল্পের জন্য এর মধ্যেই ১৬০ কোটি পাকিস্তানি টাকা বরাদ্দ করেছে ইমরান খান প্রশাসন। পাক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিমানঘাঁটি থেকে প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান সরকার। এর আগেই মানসেহরা থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে মুজাফ্ফরাবাদে যুদ্ধবিমান অবতরণক্ষেত্র তৈরি করেছে পাকিস্তান। নতুন বিমানঘাঁটি সেই প্রকল্পকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বিমানঘাঁটি থেকে ২০ কিমি দূরত্বে অ্যাবোটাবাদ শহর, যেখানে মার্কিন নেভি সিল্স বাহিনীর হানায় নিহত হন ওসামা বিন লাদেন।
তবে নিয়ন্ত্রণরেখার এত কাছে পাক বিমানঘাঁটি হওয়ার কারণে তা ভারতীয় যুদ্ধবিমানের নিশানাতেও থাকবে, এমনই মনে করছেন শীর্ষ স্থানীয় সেনাকর্তারা। বিশেষ করে মনে রাখতে হবে, ভারতের ব্রাহ্ম ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৩০০ কিমি পর্যন্ত নির্ধারিত। আবার, ৫-৬ মিনিটের দূরত্ব অতিক্রম করে যে কোনও সময় হানা দিতে পারবে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানও। এছাড়া পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতেও সংস্কারমূলক কাজ চলছে এবং সেখানে সম্প্রতি ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেখা গিয়েছে। মিয়ানওয়ালিতে বসানো হয়েছে নজরদারি রাডার।
মনে রাখা জরুরি, কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলেও পাকিস্তানকে এখনও সামরিক সহায়তা করে চলেছে চিন। চিনের গানসু প্রদেশের জিকুয়ানে কিছু দিন আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে চিন-পাকিস্তান যৌথ সামরিক মহড়াও। সব মিলিয়ে সীমান্তে এখন পুরোদমে সংঘাত-সঙ্কুল আবহ নির্মাণের প্রস্তুতি চলেছে দুই তরফেই।