দ্রুত মেদভুঁড়ি কমাবে এই মজার ফলটি
ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামের আধার বলা হয় এই ফলকে। এই ফলটি অনেকের কাছেই অপরিচিত। আবার অনেকেই এটি চিনে থাকলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন না। এই ফলটিকে ঢেউয়া, ডেলোমাদার, ডেউফল, ঢেউফল ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে। এর রয়েছে অসাধারণ ভেষজ পুষ্টিগুণ।
এই ফলটিতে খনিজ- ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি- ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ- ০.৭ গ্রাম, শর্করা- ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ- ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ১৩৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম- ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম বিদ্যমান। দেখতে অদ্ভুত এবং ভিন্ন স্বাদের ডেউয়া ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর উপকারিতা সম্পর্কে-
১. যারা মেদভুঁড়ি বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন তারা ডেউয়া ফলের রস এক থেকে দেড় চামচ ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে রোজ একবার করে এক মাস খেলে উপকার পাবেন। তবে ১২ মাস তো এ ফল পাওয়া যায় না, এজন্য যখন পাওয়া যাবে তখন কেটে রোদে শুকিয়ে রাখতে হবে।
২. এছাড়া পেটে বায়ু জমলে পাকা ডেউয়ার রস দেড় চামচ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে অল্প চিনি নিয়ে প্রতিদিন একবার করে এক সপ্তাহ খেলে উপকার হবে।
৩. অনেকের অসুস্থতার কারণে মুখে রুচি থাকে না। দুই-তিন চামচ ডেউয়ার রসের সঙ্গে একটু লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দুপুরবেলা ভাত খাওয়ার আগে খেতে হবে। এক সপ্তাহ খেলেই মুখে রুচি আসবে।
৪. অনেকের বিভিন্ন প্রকার খাবার খেলে পেট পরিষ্কার হয় না। অস্বস্তিতে ভোগে। তারা কাঁচা ডেউয়া কেটে ৮ থেকে ১০ গ্রামের মতো বেটে গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ওই পানি খেলে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটি সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
৫. যকৃতের নানা অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে ডেউয়া।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের কারণে পেট ব্যথা কমাতে সহায়তা করে ফলটি।
৭. এই গাছের ছালের গুঁড়া ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং ব্রণের দুষিত পুঁজ বের করে দেয়।
৮. ডেউয়ার ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাঢ়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে।
১০ ডেউয়াতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।